Connect with us

রাজশাহী

রাজশাহী মেডিক্যালে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর

Avatar photo

Published

on

rmc
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারপিট করেছে স্বজনরা। আজ শুক্রবার দুপুরের এ ঘটনায় হাসপাতালে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন সোনালী ব্যাংক লক্ষীপুর শাখায় কর্মকর্তা সিবিএ নেতা ও মহানগর শ্রমিক লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন খানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। মোশাররফের বাড়ি নগরীর টিকাপাড়া এলাকায়।

এ ঘটনার পরে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবা ফেলে জরুরি বিভাগের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা জরুরি বিভাগেও সামান্য ভাঙচুর করেন।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকের অবহেলায় মোশাররফ হোসেন মারা গেছেন। এর পর তারা উত্তেজিত হয়ে উঠে ওই ওয়ার্ডের ইন্টার্ন (শিক্ষানবিশ) চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে। এ সময় হাসপাতালের জানালার কাচও ভাঙচুর করা হয়। এ নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে রোগীর স্বজনরা আরো মারমুখী আচরণ করতে থাকে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শ্রমিক লীগ নেতা মোশাররফকে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এর কিছুক্ষণ পরই ওই রোগী মারা যান। এ ঘটনার পর মোশাররফের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারপিট করেন। মোশাররফকে গত ৮ এপ্রিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে নগরীর জমজম ক্লিনিকে কিডনির পাথর অপারেশন করে বের করা হয়। এর পর তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রামেক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই হাসপাতালের দুই নম্বর ওয়র্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন মোশাররফ।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারপিট করার পর তার ক্ষোভে চিকিৎসাসেবা ফেলে বেলা সোয়া ২টার দিকে জরুরি বিভাগের সামনে এসে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা জরুরি বিভাগে ভাঙচুরও চালান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে জরুরি বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে চিকিৎসকরা বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিষয়টি স্বীকার করে রাজপাড়া খানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখার উদ্দিন জানান, একজন রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Highlights

বিয়ের অর্ধমাস পর জানলেন স্ত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

Avatar photo

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় এক যুবক বুঝতে পারেন তার স্ত্রী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি বিষয়টি স্বজনদের জানান। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে তরুণীর সাবেক প্রেমিককে আসামি করে মামলা করেন যুবকের শ্বশুর। এর আগে গত ১৫ জুলাই ওই যুবকের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) কুদ্দুস জানান, বিয়ের ১৫ দিন পর যুবক জানতে পারেন তার বিবাহিত স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। পরে কোরবানির ঈদের পর স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। তিনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানান। পরদিন উপজেলা সদরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করে পরিবারের লোকজন নিশ্চিত হন ওই তরুণী ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

পুলিশ জানায়, বিয়ের আগে একই গ্রামের সোহেল রানার নামের একজনের সঙ্গে ওই তরুণীর (১৮) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

এ ঘটনায় তরুণীর বাবা থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগটি ধর্ষণ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। তবে মামলার পর থেকে আসামি সোহেল পলাতক।

এসআই কুদ্দুস জানান, সোহেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওই তরুণী জানান, সোহেল জোরপূর্বক এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। বিষয়টি কাউকে জানালে বাবাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি বিষয়টি গোপন রাখেন।

Continue Reading

দেশজুড়ে

রাস্তার পাশে শুয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে রাজশাহীর জিনারুল

Avatar photo

Published

on

বিডিপি ডেস্ক:
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ৫নং চারঘাট ইউনিয়ন এর ৬নং ওয়ার্ড বেলতলী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৭ বছরের পঙ্গুত্ব জীবন নিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন জিনারুল (৩৮) নামের এক যুবক,

জানা যায়, অবহেলার আরেক নাম মৃত্যু। কারণ অবহেলা থেকেই মানুষ মৃত্যুর দরজায় হেলে পড়ে, তবে সেই মৃত্যুও যদি স্বাভাবিক না হয় তবে আর কি বা করার থাকে?

শনিবার (৩১ জুলাই) এমন এক ব্যক্তি শোনালেন তার জীবনের গল্প, যিনি প্রায় ৭ বছর ধরে পঙ্গুত্ব আর অবহেলা নিয়ে বেঁচে আছেন। ৩৮ বছর বয়সী এই যুবকের বাবার নাম মৃত নইমুদ্দিন বিশ্বাস ও মাতা জোহুরা বেওয়া।

নিজ বাড়ি চারঘাট পৌর এলাকার মিয়াপুর গ্রামে। তবে বাবা মারা যাওয়ার পর আর থাকা হয়নি নিজ বাড়িতে মা সহ চলে আসেন নানার বাড়ি চারঘাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার বেলতলি গ্রামে। এর পরে আর্থিক ভাবে অসচ্ছল নানার বাড়িতে কোন রকমে দিন পার করতো তারা, এমন সময়েও দেখেন সংসার করার স্বপ্ন, বিয়ে করেন তিনি অতপর মা আর বউ নিয়ে ভালোই চলছিলো সংসার।

তবে ২০১৩ সালটা কাল হয়ে দাঁড়ালো আজকের গল্পের নায়ক ও মৃত্যুপথযাত্রী জিনারুলের জীবনে। বছরের প্রথম দিকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় অচল হয়ে পড়ে পা দুটো। সংসারে নেমে আসে ঘন অন্ধকার।

এক দিকে পৃত্রীহীন জীবনের ব্যথা অন্য দিকে হতদরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ, আবার সাথে যুক্ত হলো পঙ্গুত্ব। অভাবের সংসার ফেলে চলে গেলো সারা জীবন এক সাথে থাকার প্রত্রিশ্রুতি দেওয়া বউ। শুরু হল অবহেলার জীবন। তবে জন্মদাতা মা ফেলতে পারেনি তার সন্তানকে। শত বঞ্চনা সহ্য করেও মা তার বুকের ধনকে আগলে রেখেছিলো ৩ টি বছর।

এক পর্যায়ে আত্মীয়-স্বজনদের চাপে ও পরিস্থিতির শিকার হয়ে দূরে ঠেলে দিয়েছে জন্মদাতা নিরুপায় মা। সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হওয়ার কারণে চলাফেরা ওঠা-বসা করতে না পারা জিনারুলকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ের দিকে বাড়ি থেকে দূরে রাস্তার পাশে গাছের নিচে বাধ্য হয়েই ফেলে রেখে যান জনম দুখিনী মা।

জগত সংসারে কোন আত্মীয়-স্বজন এখন জিনারুলের খোঁজ খবর না রাখলেও এখনো শত কষ্টের মাঝে ৩ বেলা খাবার পৌঁছে দেন তার মা জোহুরা বেওয়া। খোলা আকাশের নিচে ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে জীবন চলতে থাকে জিনারুলের। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষকের উদ্যোগে ও এলাকা বাসির সহযোগিতায় মেলে দুটি টিন, চার টুকরা বাঁশ ও একটি চৌকি, রাস্তার পাশে তৈরি হয় গল্পের নায়কের বর্তমান আবাসস্থল। আর জিনারুল ও তার মায়ের আয় বলতে প্রতিবন্ধী ভাতার একটি কার্ডের অতি সামান্য কিছু টাকা।

এত কষ্ট, অবহেলা, অবজ্ঞার মাঝে কিভাবে বাঁচতে পারে একজন মানুষ? বাকি জীবনের চাওয়াটাই বা কি? জানতে চেয়েছিলাম জিনারুলের কাছে। সে বলেন, ৭ বছরের পঙ্গুত্ব জীবনে এখন চাওয়া একটাই, সে বাড়ি ফিরতে চাই। আর যে কটাদিন বেঁচে আছে মায়ের সাথে এক বাড়িতে থাকতে চাই।

সে আরো বলে, আমাকে যদি বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন, মায়ের সাথে থাকার সুযোগ করে দেন তাহলে আমি বাড়িতেই থাকতে চাই এভাবে জীবনযাপন করা খুব কষ্টদায়ক। আমি আর পারছিনা এভাবে থাকতে।

গ্রামবাসীরা জানান, প্রায় ৭ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে যাওয়া জিনারুল ৪ বছর ধরে এই রাস্তার ধারে বাস করছেন, দেখার মত কেউ না থাকায় রোদ বৃষ্টিতে ভিজে দিন পার করছেন সে, তবে এমন এক অসহায়ের পাশে যদি জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবান রা এগিয়ে আসে তাহলে বাকি দিনগুলো সুখে কাটাতে পারত জিনারুল,

এ বিষয়ে চারঘাট উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা ও ৫নং ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সুনির্দিষ্ট সহযোগিতার কথা বলেননি তারা, এমনকি জিনারুল এর মতো কাউর কথাও তাদের জানা নেই।

Continue Reading

দেশজুড়ে

রাজশাহীতে ভুয়া এমএলএম কোম্পানির ৪ প্রতারক আটক

Avatar photo

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
রাজশাহীতে বেস্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সি নামে ভুয়া মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানির চার প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার দক্ষিণ দড়িখড়বোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় সেখানকার তিনটি বাড়ি থেকে ৩৭ যুবক-যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানার মেছপাড়া জিউপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে মো. মোহাইমিনুল হক মিনু (২৪) ও তার স্ত্রী মোসা. শিলা বেগম (২০), নাটোর জেলার সদর থানার জালালাবাদ গ্রামের মো. আসলাম আলীর ছেলে মো. শিমুল হোসেন (১৯) ও রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার যষ্ঠিতলা গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে রাকেশ দাস (৩০)।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের নগর মুখপাত্র এডিসি গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, ভুক্তভোগীদের কাছে থেকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে রাজশাহী মহানগরীতে বেস্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সি (এমএলএম) কোম্পানি চাকরিপ্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে থেকে সিভিসহ ৫৬০ টাকা করে নেন। এছাড়াও কোম্পানিতে যোগদান বাবদ এককালীন ৩৬ হাজার টাকা গ্রহণ করে ভুয়া কোম্পানির প্রতারকচক্র। ওই টাকার মধ্যে থাকা-খাওয়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা ও পণ্য সামগ্রী বাবদ ১৮ হাজার টাকার হিসেব দেখায় তারা।

কিন্তু কোম্পানি প্রতিজনের জন্য ব্যয় করে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। এরমধ্যে ৮ হাজার টাকা মূল্যের এলইডি মনিটর, ৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন সেট। কোম্পানি প্রতিজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। তিনি আরও বলেন, বেকার যুবক-যুবতীরা নতুনকর্মী সংগ্রহ করে থাকে আর এভাবে বেস্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করতে থাকে। শুধু তাই নয় চাকরি প্রত্যাশী বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি কাজ দেয়ার নামে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক আটক করে রাখে। এমনকি তাদের দ্বারা অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়।

Continue Reading