দেশজুড়ে
হবিগঞ্জে ছাত্রী লাঞ্ছনা: সেই বখাটেকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ
এরআগে দুপুর ১টায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক হবিগঞ্জের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত সুলতানার আদালতে রাহুলকে হাজির করেন। কিন্তু বিচারক মামলাটি তার আওতাভূক্ত না হওয়ায় গ্রহণ না করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পরে বিকেল পৌনে ৩টায় হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই এ কে এম রাসেলের মাধ্যমে জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহর আদালতে রাহুলকে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শোয়েব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিকেল সোয়া ৩টায় কিছুক্ষণ পর আদেশ দেওয়ার কথা বলে বিচারক বিরতিতে যান। এরপর ৫টা ৩৬ মিনিটে রাহুলকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন তিনি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হবিগঞ্জ সদর থানার এসআই ওমর ফারুক আদালতের এ নির্দেশের কথা জানিয়েছেন।
সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতভর থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। কিন্তু সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছে। ঘটনার ভিডিও কে করেছে, কে তা ফেসবুকে আপলোড করেছে, সে সম্পর্কে তথ্য জানতে তাকে আরো ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন।
প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় হবিগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গত ২৬ আগস্ট পথে চড়-থাপ্পর মারে রাহুল। এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ১ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাহুলকে সদর উপজেলার রীচি গ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ।
বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/ আর