মিঠাপুকুর প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের পর বেরিয়ে এলো ভূমি দস্যুদের ভয়াবহ চিত্র। ভূমি দস্যুতার সাথে জড়িত রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ৩নং পায়রাবন্দের হাজী, গ্রাম পুলিশ, মাতাব্বর,এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি। যারা নিয়ন্ত্রন করে উদ্ধতন কর্মকর্তা ও দলীয় লোকজন, সর্বপরী ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে। গত ১৩ ফ্রেব্রুয়ারী স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নিজ ভিটায় ফিরতে প্রশাসনের সহযোগিতা চায় আবু তাহের। সংবাদ প্রকাশ পাওয়ার পর নড়ে চড়ে বসে ভূমিদস্যুরা সেই সাথে মূল তথ্য উৎঘাটনে প্রতিবেদক বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে মাঠে নামে। হাতে নেয় আবু তাহেরের ১৯৭৮ সালের ২০ ই জানুয়ারী ক্রয়কৃত দলীল এবং ১২ই ডিসেম্বর ৮৭ সালে তার নামে খাজনা ও খারিজের কাগজপত্র অপর দিকে জমির দখলে থাকা আবুল কালামের কাছে গেলে পাওয়া যায় মাত্র ৩ টাকার স্ট্যাম্প এ নন রেজিস্টারকৃত একটি বায়না পত্র ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কিছু কাগজ উভয়ের কাগজ নিয়ে জায়গীর ভূমি অফিসে গেলে বেরিয়ে আসে নানান তথ্য একই জমির দাগ খতিয়ান নাম্বার অথচ ২ নামে খাজনা খারিজ। অফিসের কর্মকর্তারা জানায় কাগজপত্র অনুযায়ী আবু তাহের জমির মূল মালিক। তবে আবুল কালাম কি দেখিয়ে খাজনা প্রদান করলো তা আমাদের বোধগম্য নয়। এদিকে আবু তাহেরের জমি উদ্ধারের জন্য মিঠাপুকুর থানায় ২৭ নভেম্বর যে অভিযোগ টি দাখিল করেছিল তার কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি থানা পুলিশ। অভিযোগ তদন্ত কারী কর্মকর্তা এ এস আই মঞ্জুরুল ইসলাম জানায় আবু তাহেরর অভিযোগের পর ২ টি নোটিশ প্রদান করা হয়েছে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। অপর দিকে উপজেলার ৩নং পায়রাবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদে দেওয়া অভিযোগ পত্রের খোজ নিয়ে জানা গেছে ইতিমধ্যে ২ টি তারিখে উপস্থিত হয়নি আবুল কালাম আগামী শনিবার ১৮ই মার্চ ৩য় তারিখ রয়েছে। জমির দখলে থাকা আবুল কালামের ঘনিষ্ঠ এক ব্যাক্তি জানায় এলাকার হাজী গ্রাম পুলিশ ও মাতাব্বর মিলে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে আবুল কালাম কে কিছু কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছে সেই কাগজের বলে সে সবাইকে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এলাকাবাসী মনে করে এই ভূমি দস্যুরা আবু তাহেরের বসতভিটা গ্রাস করার যে পরিকল্পনা তৈরি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান ও আবু তাহের কে তার বসত ভিটা ফিরিয়ে দেওয়া প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করেছে।