খেলাধুলা
আজ অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে তামিম ইকবালের ১২৮ ও মুশফিকুর ৭২ বলে ৭৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে ৩০৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়েও ৮ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরা পাওয়ার হিটিংয়ে ব্যর্থ না হলে রান আরও বাড়তে পারত। জবাবে জো রুটের অপরাজিত ১৩৩, অ্যালেক্স হেলসের ৯৫ ও অধিনায়ক এউইন মরগ্যানের অপরাজিত ৭৫ রানের সুবাদে ১৬ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে ইংল্যান্ড। মাশরাফি এজন্য রান কম হওয়াকে দায়ী করলেও বোলারদের ব্যর্থতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। অজিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে নিশ্চয়ই বিষয়টি নিয়ে ভাবছে টিম ম্যানেজম্যান্ট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়ার জন্যও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়েছে তারা। তবে হারের মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছিল তা অস্বীকার করার উপায় নেই। ৪৬ ওভারের ম্যাচে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ১০০ রানের সুবাদে ২৯১ রানে অলআউট হয় কিউইরা। বৃষ্টি কারণে ৩৩ ওভারে ২৩৫ রানের নতুন টার্গেট পায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ৯ ওভার ব্যাট করে ৫৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তারপর আশীর্বাদস্বরূপ নেমে আসে বৃষ্টি।
এ জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটিকে অনেক গুরুত্ব নিয়েই দেখছেন অস্ট্রেলিয়া সহ অধিনায়ক এবং ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার, “আমাদের আরও ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। সামনে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতেই মাঠে নামবো আমার। ”
অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে অজিদের বিপক্ষে জয় ছাড়া বাংলাদেশের অন্য কোন পথ খোলা নেই। হেরে গেলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় বলতে গেলে নিশ্চিত। অজিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের রেকর্ড মোটেও ভালো নয়। ১৯ বারের দেখায় মাত্র ১টি জয় পেয়েছে টাইগাররা। তবে এই একটি জয় থেকেই আত্মবিশ্বাসের ফুয়েল বাড়িয়ে নেয়ার রসদ কিন্তু আছে। কারণ একমাত্র জয়ের স্বাদ এই ইংল্যান্ডের মাটিতে পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৫ সালে কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ‘লিটল মাস্টার’ মোহাম্মদ আশরাফুলের ১০০ রানের অভূতপূর্ব ইনিংসে ভর করে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ। সেই জয় থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই এবার অজি বধের পরিকল্পনা আঁটছে বাংলাদেশ।