Connect with us

দেশজুড়ে

রংপুরে সাংবাদিক ও তার পরিবারের উপর হামলার চেষ্টা

Published

on

রংপুর প্রতিনিধি: রংপুর পালিচড়া বকসি পাড়া নুরানী মাদ্রাসায় বরাদ্দকৃত অনুদান স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা নুরনবী মিয়া আত্মসাত করার চেষ্টা করার প্রতিবাদ করায় এবং বিষয়টি উপর মহলে অবগত করলে গত ২৫শে জুন থেকে দি বাংলা টুডের নিজস্ব প্রতিবেদক, তরুন সাংবাদিক হাসান আল সাকিব ও তার পরিবারকে ০১৭৪৭০৮৯৯১৮ নাম্বার থেকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।হুমকির বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ কে জানালে গত ২৯শে জুন দুপুর ২টায় নুরনবী মিয়া সহ অঞ্জাত ৫জন দেশীয় অস্ত্র সহ সাংবাদিক সাকিবের বাড়িতে ঢুকে সাংবাদিক সাকিবের মা মোছা:সেলিনা বেগম কে লাঞ্চিত এবং তার বাবা সাবেক সমবায় কর্মকর্তা মফিজার রহমান কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চেষ্টা করে।এসময় এলাকাবাসীর সহয়াতায় নুরনবী বাহিনী পিছু হটে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা লেবু মিয়া। পরে কোতওয়ালি থানার এস আই সিরাজুল এর নেতৃত্বে ফোর্স গিয়ে হাজির হয় ঘটনা স্থানে।

পালিচড়া বকসি পাড়া নুরানি মাদ্রাসার মুহতামি মফিজার রহমান রাজু জানান, রংপুর সদর উপজেলার পালিচড়া বকসি পাড়া নূরানি মাদ্রাসার নামে স্থানীয় এমপি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর বরাদ্দকৃত অনুদান স্থানীয় ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা নুরনবী মিয়া মাদ্রাসার ফলস্ কমিটি দেখিয়ে নিজের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা করে।বিষয়টি আমি ও মাদ্রাসা কতৃপক্ষ মিলে সদর উপজেলা প্রশাসন কে অবগত করলে নুরনবী আর উক্ত বরাদ্দকৃত অনুদান উঠাতে না পেরে গত ৪/৫ দিন থেকে মুঠো ফোনে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। হুমকির বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানালে নুরনবী মিয়া আমার এবং আমার একমাত্র ছেলে সাংবাদিক হাসান আল সাকিবের উপর হামলা করার জন্য দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আমাদের নিজ বাসায় হামলা চালায়। তিনি আরও জানান, তারা প্রথমেই আমার স্ত্রী কে সামনে পেয়ে লাঞ্চিত করে ও আমার শশুরের দেওয়া আমার স্ত্রীর কিছু সোনার গয়না তারা ট্রাংক এর তালা ভেঙ্গে নেয় এবং পরে আমাকে এবং আমার ছোট ছেলে সাকিব কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর জন্য এগিয়ে আসে। এমন্ত অবস্থায় স্থানীয় লেবু মিয়া,বদি মিয়া সহ একাধিক ব্যাক্তি আমাদের বাচানোর জন্য এগিয়ে আসে। তখন নুরনবী সহ তার সঙ্গে অঞ্জাত ৫জন পিছু হটে।
এব্যাপারে ওই জাতীয় পার্টির নেতা নুরনবী মিয়ার সঙ্গে মুঠো ফোনে কথা হলে, তিনি বলেন আমি রাজনিতী করি আমার প্রকল্প তোলার অধিকার আছে।তিনি আরও বলেন তিনি এই প্রকল্প এনেছেন,তাই তিনি অংশীদার বলেই তিনি ফোনটি কেটে দিয়ে সুইচ ওফ করে রাখেন।
বিষয়টি নিয়ে কোতওয়ালি থানার এস আই সিরাজুল এর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন,আমি ফোর্স নিয়ে স্পোটে গেছলাম,ততক্ষণে নুরনবী ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়।যেহেতু মামলা হয়েছে তদন্তের ভিত্তিতে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *