Connect with us

দেশজুড়ে

রংপুরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ইন্টারনেটে, ধর্ষক গ্রেফতার

Published

on

রংপুর প্রতিনিধি: প্রেমের ফাঁদে ফেলে রংপুরে অনার্স প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের স্থির ও ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়েছে এক যুবক।

এ ঘটনায় ধর্ষিতা কলেজ ছাত্রী থানায় মামলা করার পর নুর মোহাম্মদ (২৩) নামে ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

লালবাগ কলেজ পাড়া এলাকা থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই রংপুর জেলার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) সালেহ ইমরানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার বিকালে রংপুর শহরের লালাবাগ কলেজপাড়া এলাকায় নুর মোহাম্মদ গ্রেফতারে অভিযান চালায়।

এসময় ওই ধর্ষকের কাছ থেকে মোবাইল সেটসহ ডিজিটাল ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে। নুর মোহাম্মদ নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানী গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় পিবিআই রংপুর জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পিবিআই রংপুর বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মজিদ আলী (পিপিএম)।

তিনি জানান, ডিমলা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) বিভাগ থেকে পাশ করে আসামি নুর মোহাম্মদ। ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে নুর মোহাম্মদ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

এরপর ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নুর মোহাম্মদ নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড় এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোন দিয়ে স্থির ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে।

পরে ওই ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ তরুণীর ওপর মানসিক অত্যাচার চালায় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।

একপর্যায়ে তরুণী আসামি নুর মোহাম্মদের প্রস্তাবে রাজী না হলে তাকে ধর্ষণের কিছু ছবি নির্যাতিতার পরিচিতদের ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার তরুণী বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় গত মঙ্গলবার ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষক নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে।

পিবিআই রংপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, নুর মোহাস্মদের কাছ থেকে ঘটনা সংশ্লিষ্ট সব আলামত জব্দ করা হয়েছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।

এসময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি পেন ড্রাইভ, তিনটি মেমোরি কার্ড ও চারটি মোবাইল সীমকার্ড জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত আলামতের মধ্যে পেন ড্রাইভ এবং মেমোরী কার্ডে ধর্ষণের ভিডিও এবং স্থির চিত্র পাওয়া গেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামি নুর মোহাম্মদ একজন লম্পট প্রকৃতির লোক। আরও কোন মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করেছে কিনা সে ব্যাপারে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পিবিআই।

এসময় পিবিআই গাইবান্ধা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ও পিবিআই দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুসূদন রায়সহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *