দেশজুড়ে
পীরগঞ্জের চতরা এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি; বিশুদ্ধ পানি ও ত্রাণ সংকট
গত শুক্র, শনি ও রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বন্যা কবলিত গোবিন্দপাড়া, ফুয়াদপুর, ১৪নং ফুয়াদপুর, চন্ডিদুয়ার, লামাঘাষিপুর, চক ভ্যাকা, গোয়ালবাড়ি, বদনা পাড়া, কাটা দুয়ার, নিচিন্তবাড়ি, জল মহল, বাইটকামারী, হলদিবাড়ি, গাংদুয়ার, ফরিদপুর, খান শ্যামপুর, কুমারপুর, সুরানন্দপুর, শিমুলবাড়ি, মেরির পাড়া, ধর্মদাসপুর, রামনাথপুর এবং চৈত্রকলসহ দূর্গাপুর গ্রামের কোন কোন স্থানে হাঁটু, কোমর ও বুক এবং অথৈ পানি। ডুবে গেছে রাস্তাঘাট ও ব্রীজ-কালভার্ট, পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ঘর-বারান্দায় স্থান নিয়েছে মানুষ, গরু ছাগল। বন্ধ রয়েছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। নৌকা আর কলা গাছের ভেলায় চলাচল করতে হচ্ছে ওই ৭ ইউনিয়নের শতাধিক গ্রামের বন্যার্তদের। এছাড়াও তাদের মাঝে সেভাবে পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণ সহায়তা। অনেককেই না খেয়ে অথবা সামান্য কিছু শুকনা খাবার খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। ব্যাপাকভাবে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।
বন্যাদুর্গত নুরজাহান বেগম, সালেমা খাতুন, সালেহা বেগম, রাঙ্গা মিয়াসহ এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, ১৯৮৮’র বন্যায়ও আমাদের এ অবস্থা হয়নি। এ বছর বন্যায় আমরা চরম দুর্ভোগে পড়েছি। কেউ আমার খোঁজ খবরও নিচ্ছে না। এমনকি আমাদের পালিত পশু-পাখিদেরও কিছু খাওয়াতে পারছি না।
চতরা ইউনিয়নের ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আসাদুজ্জামান লিটন বলেন, হঠাৎ করে পানি নেমে আসায় অনেক মানুষ কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। চারপাশে অথৈ পানি থাকার কারণে তারা রান্না করে কিছু করে খেতেও পারছে না। এছাড়া বিশুদ্ধ পানি, সুচিকিৎসা এবং রান্ন করা খাবার খুবেই জরুরি।