জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ফ্রান্সের সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এম জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল দেশ হলেও মানবিক কারণে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়েছে। আমি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে আপনার (ফ্রান্স) দেশের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ককে চমৎকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরো জোরদার হবে। রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ফ্রান্সের অবদান ও স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে রাষ্ট্রদূতকে সফলভাবে তার দায়িত্ব পালনের জন্য অভিনন্দন জানান। ফ্রান্সকে পরীক্ষিত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত ২ বছরে পারস্পরিক সমঝোতা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীদ্বয়ের সফর বিনিময়ে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন যে ২০১৭ সালে ৩১ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিতব্য ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার দায়িত্ব পালনকালে সার্বিক সহায়তার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অবার্ট বলেন, আগামীতে দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। রাষ্ট্রপতির সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।বাসস।