শিক্ষাঙ্গন
বেরোবির চার কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া চার কর্মকর্তা হলেন- সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল, উপ- পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিজিএম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনি এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগে দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবদুল করিম ২০১৩ সালে একটি মামলা করেন। ওই চার কর্মকর্তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই সময়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল জলিল মিয়াকেও মামলায় আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১৯ মার্চ সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়াসহ ওই চার কর্মকর্তাকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র পাঠায় দুদক। পরে গত ২০ জুলাই মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে বিশেষ জজ আদালত সাবেক উপাচার্য আব্দুল জলিল মিয়া ও শাহজাহান মণ্ডলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং বাকি তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২০ আগস্ট তারা জামিনে মুক্তি পান।
জানা যায়, ১৬ জুলাই রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সিন্ডিকেট সভায় নিয়ম ভঙ্গ করে ওই চার কর্মকর্তা উপ-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডলকে অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার, উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এটিএম গোলাম ফিরোজকে অতিরিক্ত পরিচালক, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম রনিকে উপ-রেজিস্ট্রার ও অর্থ ও হিসাব শাখার সহকারী পরিচালক খন্দকার আশরাফুল আলমকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলে ক্যাম্পাসে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। নানান বিতর্ক ও সমালোচনার পর গতকাল মঙ্গলবার তাদের পদোন্নতি স্থগিতসহ সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয়া হয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বহিষ্কৃত এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদেরকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। সিন্ডিকেট সভায় প্রকৃতপক্ষে কি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব ইব্রাহীম কবীরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।