দেশজুড়ে
কাউনিয়ায় কয়েন টাকা নিতে অনীহা; বিপাকে জনগণ, নেপথ্যে কারা!
সরকারী নির্দেশনা থাকলেও উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে পাইকারী ব্যবসায়ী ও ব্যাংক গুলোর বিরুদ্ধে কয়েন টাকা না নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হোটেল ব্যবসায়ী দেলোয়ার, বেকারী ব্যবসায়ী আমজাদ, কাঁচামাল ব্যবসায়ী শাহআলম, পান সিগারেট দোকানদার আব্দুল কুদ্দুস, ঝালমুড়ি দোকানদার তিলক চন্দ্রসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন আমরা খুচরা ব্যবসায়ী কয়েন টাকা নিয়ে সমস্যায় আছি। দৈনিক ব্যবসায় পাওয়া কয়েন আমরা মহাজনকে দিলে নেয় না। এমনকি মালা-মাল দিতে চায় না। কয়েন দিলে ছুরে ফেলে দেয়। যদিও নেয় তাহলে ১০০টাকায় ৩০টাকা কমিশন দিতে হয়।
কাউনিয়া উপজেলায় ৮-১০টি বড় হাট-বাজারসহ আনাচে কানাচে হাজার হাজার দোকান রয়েছে। সরকারী নির্দেশনা ও নীতিমালা থাকলেও সংশ্লিষ্টদের গাফলতি এবং নজরদারীর অভাবে এই কয়েন টাকা নিয়ে বড় ব্যবসায়ীদের অনীহার সৃষ্টি বা কৌশল বলে মনে করে ভুক্তভোগী অনেকে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলার তকিপল হাট, হারাগাছ পৌর বাজার, খানসামার হাট, মীরবাগ হাট, মধুপুর হাট, ভায়ার হাট, শহীদবাগ হাট, বাসষ্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ অনেক এলাকায় খোজ নিয়ে জানা যায় কয়েন টাকা নিতে মহাজনদের অনীহা বা কৌশলের চিত্র একই। আরো জানা যায়, কয়েন টাকার লেনদেন নিয়ে হাতাহাতি বাক-বিতন্ডা মারপিট বর্তমানে নিত্য ঘটনা।
পাইকারী ব্যবসায়ী স্বপন সাহা, মিলন মিয়া,আব্দুল মতিন কয়েন টাকায় কমিশন কর্তনের বিষয়টি মিথ্যা জানিয়ে বলেন, কোন কোম্পানী ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কয়েনতো দুরের কথা ১০-২০টাকার নোট পর্যন্ত নিতে চায় না। তারা নিলে এই সমস্যার সৃষ্টি হতো না।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংক লিঃ কাউনিয়া শাখা’র ম্যানেজার ফজলে এলাহী জানান, কয়েন টাকা নেয়া এমনকি স্তরভেদে পরিমাণ মত সংরক্ষনের নির্দেশনা আছে। অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েন না নেয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সত্যি নয়। কিন্তু কাজের চাপ ও গ্রাহকের অগোছালো ভাবে দেয়ার কারনে কিছুকিছু সময় এই বিপত্তি ঘটে। আরো জানান, নির্দেশনা থাকলেও কোন গ্রাহক কয়েন নেয় না তখন তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে অনেক ভোগান্তী হয়।
তাহলে এই অনিহা’র নেপথ্যে কারা? লেনদেনে টাকার গুরুত্ব থাকলেও কয়েন টাকা যেন মূল্যহীন, তাই সংশ্লিষ্টদের সুনিদির্ষ্ট নির্দেশনা ও নজরদারী কামনা করেন ভুক্তভোগী অনেকেই।