Connect with us

আন্তর্জাতিক

নির্দিষ্ট রুটে ওড়েনি এয়ারএশিয়া!

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জাভা সাগরে বিধ্বস্ত এয়ার এশিয়ার প্লেনটি নির্ধারিত রুটে চলেনি। আর এজন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (০৩ জানুয়ারি) ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় সংবাদ মাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছে। এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড ৮৫০১ গত রোববার ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। এতে পাইলট, ক্রু সদস্য এবং শিশুসহ ১৬২ জন যাত্রী ছিল। আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দল জাভা সাগর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিনে মোট ৩০জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। প্লেনের বিভিন্ন অংশ পাওয়ার কথাও জানিয়েছে তারা। উড়োজাহাজটির অনুসন্ধানে ফ্রান্স এবং সিঙ্গাপুরের তদন্ত দলও অংশ নিয়েছে। অনুসন্ধানকারী দলটি সমুদ্রতলে উড়োজাহাজটি ও ব্ল্যাক বক্সের (যাতে ফ্লাইটের তথ্য থাকে) অবস্থান জানতে সাইড-স্ক্যান সোনার যন্ত্র ও পিঙ্গার লোকেটর ব্যবহার করছে তারা। সমুদ্রপৃষ্ঠের ২৫ থেকে ৩২ মিটার নিচে উড়োজাহাজটির ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিমান পরিবহনের মহাপরিচালক দিজোকো মুরাজাতমুদজো বলেন, সাগরে আন্তর্জাতিক অনুসন্ধান দল শুক্রবার পর্যন্ত প্লেনের দুটি বড় অংশের হদিস পেয়েছেন। তবে কেউ ফ্লাইট শিডিউল সম্পর্কে নির্দিষ্টি কিছু বলতে পারছেন না। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট ফ্লাইট সূচি লঙ্ঘন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে রুটে চলাচলের কথা ছিল তা দিয়ে চলাচল করেনি ফ্লাইটটি। তবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তদন্ত ছাড়া বলা যাচ্ছে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।  এদিকে এক বিবৃতিতে ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেএ বারাতা বলেন, রোববার এয়ার এশিয়ার ফ্লাইটটি সুরাবায়া-সিঙ্গাপুরের নির্দিষ্ট রুটি ও সূচি মেনে চলে নি। কিন্তু প্লেনটি কীভাবে প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছাড়া উড়তে  সক্ষম হয়েছে এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানান তিনি। মালয়েশিয়া ভিত্তিক এই এয়ারলাইন্সটি এয়ার এশিয়া ইন্দোনেশিয়া পরিচালনা করছে। এদিকে ইন্দোনেশিয়ার অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান বামবাং সোয়েলিস্টিও জানান, এক হাজার ৫৭৫ বর্গ নটিক্যাল মাইলের মধ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে।  ২৯টি জাহাজ এবং ১৭টি উড়োজাহাজ এই অভিযানে অংশ নিয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *