Connect with us

দেশজুড়ে

রাজশাহী জেলার ২০টি পয়েন্ট ‘ডেঞ্জার পয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত

Published

on

ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, রাজশাহী:
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের অব্যাহত হরতাল-অবরোধে নাশকতার ‘ডেঞ্জার পয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে রাজশাহী নগরীসহ জেলার ২০টি পয়েন্ট। এসব এলাকায় একের পর এক চোরাগোপ্তা হামলা ও নাশকতার কারণে ভীতিকর এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহী নগরীর অপেক্ষাকৃত নির্জন সিটি বাইপাসে রাতে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে এসব এলাকায় কমপক্ষে ২৫টি ট্রাক-বাস পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ১২ জন নারী ও শিশু দগ্ধসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। নিহত হয়েছেন ট্রাকের ২ হেলপার। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে অর্ধশতাধিক বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্র মতে, রাজশাহীতে নাশকতার ২০টি ডেঞ্জার পয়েন্ট চিহ্নিত করে ওই সব এলাকায় সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে। তবে এর মধ্যেও সুযোগ বুঝে মাঝে মধ্যে নাশকতা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে পুঠিয়ার ঝলমলিয়া আর বানেশ্বর থেকে চারঘাট-বাঘা হয়ে ঈশ্বরদী রুট ও নাশকতার পয়েন্ট। এসব পয়েন্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ, ডাইংপাড়া, রাজাবাড়ী, রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা, ডিঙ্গাডোবা, ডাসমারি, দড়িখরবোনা, শালবাগান, আলিফ লাম মিম ভাটার মোড়, আশরাফের মোড়, কাজলা, বিনোদপুর, বেলপুকুর, খড়খড়ি, পুঠিয়ার বানেশ্বর ও তানোর এবং চারঘাট রুটের কয়েকটি পয়েন্ট। অপেক্ষাকৃত নির্জন এসব এলকায় পুলিশি পাহারা জোরদার করা হলেও সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে নাশকতায় লিপ্ত হচ্ছে। হরতাল-অবরোধের মধ্যে রাজশাহীর আশপাশের জেলাগুলোয় বাস চলাচল শুরু হলেও বগুড়া, পাবনা, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর রুট ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে এখনও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে প্রতিদিন পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। এদিকে অবরোধের শুরু থেকে গত কাল পর্যন্ত রাজশাহীতে ছয়টি বাস ও ১৯টি ট্রাকে পেট্রোলবোমা মেরে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ভাঙচুর করা হয় অর্ধশতাধিক যানবাহন। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্র“য়ারি সন্ধ্যায় পুঠিয়ার বেলপুকুরে বরই বোঝাই একটি ট্রাকে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আগুন থেকে বাঁচতে ট্রাক থেকে লাফ দিলে চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় হেলপার পিন্টু। এর আগে গত ২ ফেব্র“য়ারি নগরীর মোল¬াপাড়া বাইপাস সংলগ্ন ঠাকুরমারা এলাকায় বালুবাহী একটি ট্রাকের চালক ও হেলপার পেট্রোলবোমায় দগ্ধ হয়। এদের মধ্যে গত কাল বিকেলে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেলপার শহিদুল ইসলাম মারা যায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) ইফতেখায়ের আলম জানান, হামলাকারীরা সুযোগ বুঝে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। তবে নাশকতার ডেঞ্জার পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপক তৎপর রয়েছে। এতে নাশকতা কমে আসছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *