Connect with us

জাতীয়

নৃশংসতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

FILES-BANGLADESH-POLITICS-VOTE-HASINAস্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপি-জামায়াতের চলমান বর্বরতা ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক প্রতিটি নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত কাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি-জামায়াত তখন দেশকে পিছেয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা নির্মমভাবে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে, শিশু পুড়িয়ে হত্যা করছে এবং দেশের সম্পদ ধ্বংস করছে।
গত এক মাসের বেশি সময় ধরে সারাদেশে লাগাতার অবরোধ চালিয়ে আসছে বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী জোট। অবরোধে হাতবোমার বিস্ফোরণ, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়ে ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ মানুষ। এ সময় কয়েকশ যানবাহনে ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অবরোধে উৎপাদন ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘিœত হয়ে লাখ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে।
কোস্টগার্ড সৈনিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি এই স্বীকৃতি আপনাদের আরও উজ্জীবিত করবে। আপনাদের অপারেশনাল ও কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডকে আরও বেগবান করবে। এসময় বাহিনীর কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “কোস্টগার্ডের মূলমন্ত্র ‘গার্ডিয়ান অ্যাট সি’ অর্থাৎ সমুদ্রের অভিভাবক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এ মূলমন্ত্র ধারণ করে এবং দেশের প্রতি গভীর মমত্ববোধ নিয়ে আপনারা অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাবেন। লাখো শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটি। এর সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে আপনারা সদা প্রস্তুত থাকবেন-এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।” কোস্টগার্ডের উন্নয়নে নেওয়া সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ‘কোস্টগার্ড উন্নয়ন রুপকল্প ২০৩০’ প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছে। এর বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় এ বাহিনীর জন্য দ্রুতগতি সম্পন্ন বোট সংগ্রহ করা হয়েছে। কোস্টগার্ডের নতুন নতুন স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। আউটপোস্ট ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুব শিগগিরই চারটি অফশোর পেট্রল ভেসেল ও চারটি ইনশোর পেট্রল ভেসেল কোস্টগার্ড বহরে যুক্ত হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, “সমুদ্রপথে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিচালনা ছাড়াও অঢেল সম্পদের বিশাল ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। এই সম্পদের অন্বেষণ, আহরণ এবং সংরক্ষণ আমাদেরকেই করতে হবে। জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণসহ নদীমাতৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ জলজ সম্পদ সুরক্ষা তথা নদী পথের নিরাপত্তাসহ বহুবিধ দ্বায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে কোস্টগার্ডের ভূমিকা অপরিসীম।”
অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এম মকবুল হোসেনের হাতে এই বাহিনীর ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ এবং কোস্টগার্ডের উন্নয়ন ও অপারেশনে অবদানের জন্য ২২ জন কর্মকর্তা এবং ১৩ জন নাবিককে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পদক ও প্রেসিডেন্ট কোস্টগার্ড পদক প্রদান করে প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাংসদ, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান, বিদেশি কূটনৈতিক, সামরিক ও বেসামরিক আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *