Connect with us

জাতীয়

মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট ‘লা টুটা’ গ্রেফতার

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মেক্সিকোর কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী সারভান্দো গোমেজ মার্টিনেজ ওরফে লা টুটাকে গ্রেফতার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  শুক্রবার মেক্সিকোর মিচোওয়াকান রাজ্য থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মার্টিনেজকে বর্তমানে রাজধানী মেক্সিকো সিটির একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। মাদক পাচার, হত্যা, সহিংসতা সহ বিভিন্ন অপরাধে মেক্সিকোর পাশাপাশি প্রতিবেশী যুক্তরাষ্ট্রেরও মোস্ট ওয়ানটেড তালিকায় ছিলেন লা টুটা। তাকে ধরিয়ে দিতে ২০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো দেশ দু’টির কর্তৃপক্ষ। কুখ্যাত ক্যাবালেরোস টেম্পলারিওস বা নাইট টেম্পলার ড্রাগ কার্টেলের নাটের গুরু হিসেবে পরিচিত মার্টিনেজ। নাইট টেম্পলার মেক্সিকোর সবচেয়ে কুখ্যাত মাদক চক্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।  শিক্ষক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করায় মার্টিনেজকে শিক্ষক বা লা টুটা হিসেবে অভিহিত করা হয়। এদিকে মার্টিনেজের গ্রেফতার মিচওয়াকান রাজ্যের চলমান সহিংস পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন দেশটির কর্তৃপক্ষ। মিচওয়াকান রাজ্যে বর্তমানে মাদক চক্রগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমেছে ভিজিল্যান্ট গ্র“প বলে পরিচিত স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে গঠিত বেসরকারি প্রতিরোধ কমিটি। তাদের সহায়তা করছে সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাদক চক্রগুলোর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ২০০৬ সালে সেনা নামাতে বাধ্য হন মেক্সিকোর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফিলিপ ক্যালদেরন। এর পর থেকে সহিংসতায় এ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় সরকারিভাবেই নিহতের সংখ্যা ৬০ হাজার। তবে প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা প্রায় এক লাখ ত্রিশ হাজার বলে মনে করেন নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা। মার্টিনেজকে গ্রেফতারের এক বছর আগে গ্রেফতার হন অপর কুখ্যাত মাদক চক্র সিনালোয়া কার্টেলের প্রধান জোয়াকিন শর্টি গুজম্যান। তার নেতৃত্বে সিনালোয়া কার্টেল বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সংগঠিত মাদক পাচার চক্রে পরিণত হয়। তবে গুজম্যানকে গ্রেফতার করা হলেও মেক্সিকোতে মাদক চক্রগুলোর দৌরাত্ম্য এতটুকু কমেনি। প্রায় সামরিক স্টাইলে সংগঠিত হওয়ার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শীর্ষ নেতাদের পতনের পর শূন্যস্থান পূরণ করেন তাদের সহযোগীরা। অনেকটা যেন রূপকথার বহুমাথা বিশিষ্ট দানব হাইড্রার মত। যার এক মাথা কাটলে সঙ্গে সঙ্গেই আরও দু’টি মাথা গজিয়ে যায়। আর বিপুল অঙ্কের অর্থের হাতছানি থাকায় এসব ড্রাগ কার্টেলে ‘ফুট সোলজার’ বা সাধারণ সদস্যদেরও অভাব কখনই হয় না। ধারণা করা হয় মাদক পাচার থেকে মেক্সিকোর মাদক চক্র গুলো বছরে ৫০ বিলিয়ন বা ৫ হাজার কোটি ডলার অর্থ আয় করে থাকে। যা বাংলাদেশের মত মাঝারি অর্থনীতির যে কোনো দেশের বার্ষিক বাজেটের থেকেও অনেক বেশি। এ পরিস্থিতিতে মেক্সিকোতে মাদকের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই সহসাই অবসান হওয়া সুদূর পরাহত বলেই মনে করা হচ্ছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *