Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে ঝুকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপাড় হয় ২০ হাজার মানুষ

Published

on

FULBARI SOBI=10ফুলবাড়ী প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া-ঝাউকুটি এলাকায় বারোমাসিয়া নদীর ওপর সেতুর অভাবে শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে বাঁশ দিয়ে নির্মিত ঝুকিপূর্ণ সাকো দিয়ে পাড়াপাড় হওয়ার সময় অনেকেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। ওই নদীর উপর ব্রীজটি র্নিমিত হলে পাল্টে যাবে নদীর অপর পারের চরাঞ্চলের ২০ হাজার মানুষের জীবন-যাত্রা। দাঁড়াতে পারবে নিজেদের পায়ে,সচ্ছল হবে শত শত পরিবার।
জানা গেছে,উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কান্দাপাড়া/ঝাউকুটি এলাকায় বারোমাসিয়া নদীর ওপর স্বাধীনতার পূর্ব থেকে এলাকাবাসী একটি ব্রীজের দাবী করলেও দীর্ঘ সময়ে তা বাস্তবায়ন হয়নি।এর বদলে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে পেয়েছে শুধুই আশ্বাস। ফলে দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে নির্মাণ করেছে বাঁশের সাকো । কিন্তু কিছুদিন যেতেনা যেতেই সেই সাকো নড়বড়ে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই ঝুকিপুর্ণ সাঁকো দিয়েই বাধ্য হয়ে চলাচল করছে মানুষ। জীবনের ঝুকি নিয়ে ওই নড়বড়ে সাঁকোর ওপর দিয়েই দৈনন্দিন ঝাউকুটি, খাড়াপাড়া, কান্দা পাড়া, বাগখাওয়ার চর, ঝামাকুটি, কলাবাগান ও চর গোড়ক মন্ডল গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ফুলবাড়ী উপজেলা সদরসহ বালারহাটে আসেন ব্যবসা-বাণিজ্য, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ এবং দৈনন্দিন কর্মসংস্থানের জন্য। অন্যদিকে সেতুটি না থাকায় সংশ্লিষ্ট গ্রাম গুলোর কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছেন না তারা। তাছাড়া মূমুর্ষ রোগীর জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন হলেও ওই নড়বড়ে সাকোর উপর দিয়ে হাসপাতালে নেয়া দূরহ ব্যাপার হয়ে পড়ে। সাকোটির পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ধরলা নদী এবং পূর্ব প্রান্তে বারোমাসিয়া নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন বন্দীদশার মত ওই গ্রাম গুলোর মানুষ। ওই নদীর চরে রয়েছে কান্দাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর-গোরকমন্ডল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,চর-গোরকমন্ডল নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চর-গোরকমন্ডল ১নং ও ২নং আবাসন প্রকল্প। প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী ওই বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। কমবয়সী শিক্ষার্থীরা ঝুকিপূর্ণ ওই সেতু পাড় হয়ে প্রতিনিয়ত স্কুলে যাওয়া আসা করে।
কান্দাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক-ওবায়দুল হক বলেন,ওই সাকো পাড়াপাড় হতে গিয়ে অনেক ছেলে-মেয়ে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। অনেকেরই বই-পত্র পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। সেতুর জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এলাকাবাসীসহ বহুবার আবেদন করেছি। কিন্তু কোন কাজ হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী (৫০),আব্দুস সোবাহান (৫৫) ও মমেনা বেগম (৩০) বলেন,নির্বাচন আসলে আমাদের কদর বাড়ে। প্রার্থীরা সেতুটি তৈরীর প্রতিশ্রুতি দেয়। ভোট নেয়ার পর সেতুতো দুরের কথা এলাকাবাসীর কোনো খোঁজ রাখেনা।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুসাব্বের আলী মুসা জানান, জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে, সেতুটি বাস্তবায়নের জন্য বহুবার স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন সদুত্তোর পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান নজির হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,কান্দাপাড়া এলাকার বারোমাসিয়া নদীর ওপর সেতু বা¯তবায়নের জন্য স্থানীয় এমপি মহোদয়ের নিকট দাবী জানানো হয়েছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে এটি বা¯তবায়ন হবে ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *