আন্তর্জাতিক
পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানকে রিপাবলিকানদের খোলাচিঠি
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান কোনো পরমাণু চুক্তি করলে তা ওবামা যতদিন প্রেসিডেন্ট আছেন ততদিনই টিকবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন রিপাবলিকান দলের সিনেটররা। সোমবার ইরানের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা এক খোলাচিঠিতে এ সতর্কতা জানিয়েছেন ৪৭ জন রিপাবলিকান সিনেটর। যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের সাত রিপাবলিকান সদস্য ছাড়া বাকি সবাই ওই খোলাচিঠিটিতে সই করেছেন। ওবামার ডেমক্রেট দলীয় কোনো সিনেটর ওই চিঠিটিতে সই করেননি। রিপাবলিকান সহকর্মীদের এই পদক্ষেপকে “চমকবাজি” অবহিত করেছেন তারা। প্রেসিডেন্ট ওবামা এই খোলা চিঠির সমালোচনা করে রিপাবলিকানরা ইরানের সঙ্গে চলমান পরমাণু আলোচনায় “বাধ সাধছে” বলে অভিযোগ করেছেন। ওই ৪৭ রিপাবলিকান সিনেটর ইরানের কট্টরপন্থি ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে “অস্বাভাবিক জোট” গড়েছেন বলে বিদ্রুপ করেছেন ওবামা। খোলাচিঠিকে কূটনৈতিক সমঝোতায় ভীত চাপ প্রয়োগকারী গোষ্ঠীর “প্রচারণার কূটচাল” অভিহিত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। চিঠিতে সিনেটররা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো অনুমোদনে কংগ্রেসের একটি ভূমিকা আছে। আগামী ২০১৭’র জানুয়ারী পর্যন্ত ওবামা প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকবেন উল্লেখ করে তারা বলেছেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কোনো চুক্তি সই হলে তা নিছক “একটি নির্বাহী সমঝোতা” হিসেবে বিবেচিত হবে, আর কংগ্রেস তা বাতিল করতে পারে। এর প্রতিক্রিয়ায় চিঠিটিকে একটি দলীয় উদ্যোগ অভিহিত করে এটি প্রেসিডেন্ট ওবামার বৈদেশিক নীতিকে খাটো করেছে বলে মন্তব্য করেছে হোয়াইট হাউস। একমাত্র বিকল্প সামরিক পদক্ষেপ হলেও তার পরোয়া না করে আইনপ্রণেতারা চুক্তির বিরোধিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে হোয়াইট হাউস। ওবামা বলেছেন, তার একমাত্র মনোযোগের বিষয় এখন এটি দেখা যে, মধ্যস্থতাকারীরা কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে পারছেন কি পারছেন না। চুক্তির বিরোধিতা করে রিপাবলিকান সিনেটররা নিজেদের ইরানি কট্টরপন্থিদের মিত্র করে তুলেছেন বলে উপহাস করেছেন ওবামা। রিপালিকান সিনেটরদের এ উদ্যোগকে “নজিরবিহীন” পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন পশ্চিমা এক কূটনীতিক। তিনি বলেছেন, “এটি শতভাগ আমেরিকান ইস্যু, কিন্তু এটি একটি বাস্তব সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে।”