Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ দুইদিনে পুলিশ শিক্ষকসহ আহত- ১২

Published

on

নাগেশ্বরী (কড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:  কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ২দিনব্যাপী দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশ শিক্ষকসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে । জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে উপজেলার আন্ধারিঝাড় বাজারে মালামাল আনলোডে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কে কেন্দ্র করে কুলি শ্রমিক (রেজিঃ রাজ- ২৬৬১) ও মটর শ্রমিকদের (রেজিঃ রাজঃ ৩১৪) মধ্যে বাকবিতন্ডা হয় । ঐ ঘটনার সূত্র ধরে সন্ধ্যায় ভূরুঙ্গামারী বাসষ্ট্যান্ডের হাজী মার্কেটের কাছে মটর শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় কুলি শ্রমিকদের তিনটি স্থানীয় সংগঠন । যেগুলোর নেতৃত্বে রয়েছেন আসাদুর রহমান মানিক (রেজিঃ রাজ- ২৮৯৫) , আয়নাল হক (রেজিঃ রাজ- ২৬৭৫) ও আব্দুল কাদের খোকা (রেজিঃ রাজ- ২৬৬১) । প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষ একে অপরের উপর লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায় । ভাঙ্গচুর করা হয় কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজিঃ রাজ-২৬৬১) একটি অফিস এবং অপর একটি ট্রাক ( ঢাকা মেট্রো-ট -১৬৭৭৫১)। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে প্রথমে লাঠিচার্জ করে এবং পরে ৬ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে । জেলা শহর কুড়িগ্রাম থেকে ডিবি ও দাঙ্গা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয় । রাতে কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের অফিস ভাঙ্গচুরের ঘটনায় সংগঠন ৩ টির নেতৃবৃন্দ মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে আসামী করে থানায় মামলা করে । ফলে উভয় গ্রুপের মধ্যে আবারও উত্তেজনা দেখা দেয় । মামলা গ্রহনের অপরাধে মটর শ্রমিকরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয় এবং শনিবার সকাল থেকে লাঠিশোঠা নিয়ে বাসষ্ট্যান্ডে মহরা দিতে থাকে । এদিকে দুপুরে কচাকাটা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের চলমান এস.এস.সি পরীক্ষা শেষে খাতা জমা দিতে মটর সাইকেলযোগে ভূরুঙ্গামারীতে আসছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক শাহজাহান আলী ও কচাকাটা থানার পুলিশ কনষ্ট্যাবল দীপক । পথে বাসষ্ট্যান্ডে মটর শ্রমিকদের বেধরক পিটুনিতে তারা উভয়েই আহত হন । কুড়িগ্রাম মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মজিদুল সরদার এবং স্থানীয় মটর শ্রমিকের সভাপতি রবিউল আলম গামা ও সাধারন সম্পাদক মিজানুর ড্রাইভারের উপস্থিতিতে এ সময় দায়িত্বরত পুলিশ কনষ্ট্যাবল দীপককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয় । খবর পেয়ে পুলিশ আসলে মটর শ্রমিকেরা পালিয়ে যায় । দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনমনে আতংক তৈরী হয় । পরে আহত কনষ্ট্যাবল দীপককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় । বিগত ২ দিনে ট্রাক শ্রমিক-মটর শ্রমিক-পুলিশ ত্রিমূখী সংঘর্ষে হাজী মার্কেটের ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দীন ও তার স্ত্রী চামেলী বেগম, কেরু গোয়াল এবং শ্রমিকদের মধ্যে জুলমত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন, মাহবুব ড্রাইভার সহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন । শিক্ষক শাহজাহান আলী ও কনষ্ট্যাবল দীপক ছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন হাসান আলী , আজিজার রহমান, হাফিজ ও বাটু মিয়া । গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । পুলিশকে পিটিয়ে পালানো মটর শ্রমিক নেতারা সমঝোতার জন্য শনিবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ে আসে । এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুন্নবী চৌধুরী খোকন , উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.জে.এম এরশাদ আহসান হাবিব, ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আবু মোঃ দিলওয়ার হাসান ইনাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ সহ অন্যান্যরা । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছাড়া মটর শ্রমিকদের সাথে প্রশাসনের কোন সমঝোতা হয়নি ।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *