Connect with us

দেশজুড়ে

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ-আদালতে মামলা

Published

on

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সাতখামার ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে আদালতে ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। অর্থ আত্মসাত সহ ব্যাপক অনিয়মের কারনে অধ্যক্ষ – উপাধ্যক্ষের এমপিও ইতিপুর্বে বন্ধ হয়ে যায়। দির্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরিন কোন্দলনের জন্য মাদ্রাসাটি নানা দুর্ণীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অধ্যক্ষ নিজের পছন্দমত কমিটি এনে বহাল তবিয়তে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগে জানা গেছে, গর্ভনিং বডি গঠনে প্রায় ২৯ জন মৃত ব্যাক্তিকে ভোটার তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করে ভোট গ্রহণ করে। সম্প্রতি বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে তোফাজ্জল হোসেন ও আজিজার রহমান বাদী হয়ে ভিন্ন দুইটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নম্বর ১০/১৫ ও ১৪/১৫ অপরদিকে অবৈধভাবে অধ্যাপক মিজানুর রহমানকে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বানানোর প্রতিবাদে জালাল উদ্দীন নামের এক ব্যক্তি পঞ্চগড় বিজ্ঞ জজ আদালতে ৯২/১০ অন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। মামলার বাদী তোফাজ্জল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান, গত ৫ জানুয়ারি ২০১৫ ইং তারিখে ভোটার হওয়ার শর্ত দিয়ে একটি ভুয়া রেজুলেশন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এব্যাপারে জাসদ নেতা মোজাম্মেল হক বলেন, মৃত ভোটার, মৃত ব্যক্তির পরিবর্তে আইন সঙ্গত ভোটার, বিবাহিত ছাত্রীর স্বামীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে স্বচ্ছ ও বিতর্কমুক্ত ভোটার তালিকা হওয়া উচিৎ ছিল। উলে¬খ যে, গত ২৮ জুলাই ১১ খ্রি. তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অডিট রিপোর্টে রফিকুল ইসলাম খাঁন, ইউনুস আলী ও আজিজুর রহমানকে অতিরিক্ত শিক্ষক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সাথে শিক্ষক হাফিজ উদ্দিনকে ২,৮০,২৫০/-টাকা, শিক্ষক পশির উদ্দীনকে ৭৮,০৭৭/-টাকা ও সহকারী অধ্যাপক ইউনুস আলীকে ১,৫৮,০০৭/- টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরতের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত শিক্ষমন্ত্রণালয়ের সেই আদেশ কার্যকর হয়নি। গত ২৩ মার্চ ১১ খ্রি. তারিখে শিক্ষমন্ত্রণালয়ের অপর অডিট রিপোর্টে ৫,২৯,৯১৪/- টাকা ঋণ গ্রহন ও ৪,৮৪,৬৮৮/- টাকা ঋণ পরিশোধ শুভঙ্করের ফাঁকি ছাড়া কিছুই নহে বলে অডিট রিপোর্টে মন্তব্য করেছেন। অপরদিকে গত ২৪ জুন ১০ খ্রি. তারিখে জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত প্রতিবেদনে বলেছেন, যেহেতু আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি সু¯পষ্ট সেহেতু অধ্যক্ষ – উপাধ্যক্ষ ও সাবেক সভাপতি সহ সংশি¬ষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। এরপরে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের বিল বন্ধ হয়ে যায়। অনিয়ম ও দুর্ণীতির বিষয়ে অধ্যক্ষ আফজাল হোসেন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে ছোটখাট অনিয়ম থাকতে পারে বলে স্বীকার করেন। উপাধ্যক্ষ খাদেমূল ইসলাম বলেন তাদের বন্ধ বেতন ভাতা অরবিটেশন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাড় কবা হয় এবং কমিটি গঠন বিধি মোতাবেক হয়েছে।

ছাত্র অভিভাবকের দাবী, মাদ্রাসার স্বার্থে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষের নিয়োগ, পদায়ন থেকে শুরু করে তাঁদের বিরুদ্ধে আনিত অনিয়ম, দুর্ণীতি, বিধি বহির্ভুত নিয়োগ লাভ, উচ্চতর বেতন ভাতা উত্তোলন, বন্ধ বেতন-ভাতা ছাড় করনে মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ তদন্তের জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া দরকার।#

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *