Connect with us

বিবিধ

হেঁটেই থাকুন ফিট

Published

on

walking20150329001506রকমারি ডেস্ক:
শরীর সুস্থ ও ফিট রাখার জন্য সবচেয়ে সহজতম ব্যায়ামটি হলো হাঁটা। হাঁটা এমন একটি ব্যায়াম যেটা যেকোনো বয়সী মানুষের জন্য ভালো। এসব কথা তো কমবেশি সবারই জানা। কিন্তু এটা কি জানেন এই সহজতম ব্যায়ামটিরও আছে কিছু নিয়ম-কানুন? সেগুলোও সহজ বটে, তবে গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন হাঁটার সাধারণ কিছু নিয়ম এবং একে আরো আগ্রহোদ্দীপক করে তোলার কিছু টিপস।

– প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ধরে হাঁটুন। কম পক্ষে ৮ সপ্তাহ হাঁটার পর ফল পেতে শুরু করবেন।

– অফিসে কফি ব্রেক বা লাঞ্চ ব্রেকে নিজের ডেস্কে বসে না থেকে করিডরে হেঁটে নিতে পারেন। বাইরে খেতে গেলে হেঁটেই যান।

– প্রতিদিন খাতায় লিখে রাখুন কার সঙ্গে, কতক্ষণ, কত দূর হাঁটলেন।

– একা হাঁটতে ইচ্ছে না করলে বন্ধু বা বাড়ির কাউকে বলুন আপনার সাথে হাঁটতে। এতে আপনি হাঁটার প্রতি উৎসাহ পাবেন।

– প্রতিদিন হাঁটার পর ভাবুন আপনি হেঁটে কতটা ভালো আছেন। আপনার চেহারার কতটা উন্নতি হয়েছে।

– কোনো ওয়কিং ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। এতে অনেক সঙ্গী পাবেন হাঁটার।

– প্রথম ৬ মাস প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। এর জন্য একটা যেকোনো পুরস্কার নির্দিষ্ট করে রাখুন।

– কোনো একদিন হাঁটতে না পারলে পরের দিন একটু বেশি হাঁটুন।

– সাধারণত সকালবেলা হাঁটাই ভালো। তবে সময় না পেলে দিনের যেকোনো সময় হাঁটতে পারেন।

– বাড়িতেও যতটা সম্ভব হাঁটাহাঁটি করুন। টিভি, এসি ইত্যাদির রিমোট ব্যবহার না করে নিজে উঠে গিয়ে কাজ সারুন।

– যখন হাঁটবেন তখন কোনো সমস্যার কথা না ভেবে জীবনের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবতে চেষ্টা করুন। মনে মনে গান গাইতে
পারেন অথবা কবিতা আবৃত্তি করতে পারেন। অন্য চিন্তা মনে আসবে না।

– প্রতিদিন একই রাস্তায় না হেঁটে জায়গা বদল করুন। এতে একঘেয়েমি কাটবে।

– হাঁটার সময় গান শুনতে পারেন। মন খুশি থাকবে।

– সাথে অবশ্যই পানির বোতল রাখুন এবং হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে গেলে পানি পান করুন।

– একবারে জোরে না হেঁটে একটু একটু করে হাঁটার গতি বাড়ান।

– হাঁটতে হাঁটতে নিঃশ্বাসের কষ্ট হলে গতি কমান এবং বিশ্রাম নিন।

– হাঁটতে গিয়ে পেশি বা শিরায় টান ধরলে, শরীর খারাপ লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান।

– হাঁটার আগে এবং পরে ওয়ার্ম-আপ এবং কুল ডাউন ব্যায়াম করে নিন। ওয়ার্ম-আপে কয়েকবার একই জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফিয়ে নিন। আর কুল ডাউনে হাঁটা হয়ে গেলে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই বার জোরে নিঃশ্বাস নিন।

– হাঁটার সময় পায়ের সঙ্গে সঙ্গে হাতও যেন সচল থাকে। এতে হাঁটায় গতি আসে।

– পেট যতটা সম্ভব ভেতরে ঢুকিয়ে সোজাভাবে হাঁটুন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *