দেশজুড়ে
মানিকগঞ্জে বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
দেশের বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত জেলার মধ্যে একটি মানিকগঞ্জ জেলা। যে কোনো আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন জেলার সাত উপজেলার নেতাকর্মীরা। অবরোধ-হরতালে নাশকতার মামলার ভয় ও গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সিনিয়র নেতাকর্মীরা। জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার অবরোধ-হরতালে মানিকগঞ্জে নাশকতা, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনাসহ বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনায় শতাধিক সিনিয়র নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আসামির সংখ্যা ২ হাজারের অধিক। জেলায় এ পর্যন্ত বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা অনেকেই তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধসহ সব মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন জুনিয়র নেতাকর্মীরা। এতে একদিকে তারা পাচ্ছে না দলীয় নেতাদের পরামর্শ, অন্যদিকে পড়ছে অর্থ সংকটে। এ অবস্থায় অনেকটা অভিভাবকহীন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি। পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় এজাহারভুক্ত মানিকগঞ্জে পাঁচ শতাধিক আসামি গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৮২ জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট জামিলুর রশিদ খান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কোন নেতাকর্মী ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত নয়। অথচ নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি জানান। পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বলেন, যেকোনো নাশকতা বন্ধ করা এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করাই পুলিশের ধর্ম ও দায়িত্ব। এই দায়িত্ববোধ থেকেই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তসাপেক্ষে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কারও বিরুদ্ধে কোনো মিথ্যা কিংবা হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেফতার করা হয় নি।