Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে বর্ণবাদী দাঙ্গা

Published

on

21271292আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পুলিশ হেফাজতে আহত হয়ে পরে মারা যাওয়া এক কৃষ্ণকায় ব্যক্তির দাফন শেষে সৃষ্ট দাঙ্গায় যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর শহরে অন্ততপক্ষে সাত পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। সোমবার মেরিল্যান্ড রাজ্যের এই শহরটিতে সংঘর্ষ চলাকালে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দাঙ্গাকারীরা। পুলিশ হেফাজতে আহত ২৫ বছর বয়সী ফ্রেড্ডি গ্রে ১৯ এপ্রিল মারা যান। শহরের যে এলাকায় তার দাফন অনুষ্ঠান চলছিল তার কয়েক ব্লক পরেই দাঙ্গা শুরু হয়ে পরে শহরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। গত বছর মিজৌরির ফার্গুসনে নিরস্ত্র এক কৃষ্ণকায় কিশোরকে গুলি করে মেরে ফেলে এক সাদা পুলিশ কর্মকর্তা। পরে নিউইয়র্ক ও অন্যান্য জায়গায়ও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এবার বাল্টিমোরের ঘটনায় কৃষ্ণকায়দের সঙ্গে পুলিশের আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফের অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। ফার্গুসনের ঘটনায় সৃষ্ট প্রতিবাদে সহিংসতা ও লুটপাটের পর বাল্টিমোরের প্রতিবাদেও সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বেসবল ব্যাট নিয়ে রাস্তায় নেমে আসা দাঙ্গাকারী ও লুটেরারা বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। দমকল কর্মীরা এসব আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। এ পরিস্থিতিতে বাল্টিমোরে জরুরী অবস্থা জারি করেছেন মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান। শহরে রিজার্ভ ফোর্স ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। দাঙ্গাকারীরা এটিএম বুথ ও মদের দোকানে লুটপাট চালায়। দোকানপাটের কাঁচের গ্লাস ভেঙে ফেলে। এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে এ রকম অরাজকতা চলার পর কয়েকশ দাঙ্গা পুলিশ রাস্তায় নামে। দাঙ্গাকারীদের উপর পেপার ¯েপ্র নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে তারা। সমাজের জ্যেষ্ঠ নেতারা দাঙ্গাকারীদের, যাদের অধিকাংশেই তরুণ, বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া থেকে তাদের বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। পুলিশ জানিয়েছে, লুটের পর আগুন ধরিয়ে দেয়া একটি ওষুধের দোকানের আগুন নেভানোর চেষ্টাকালে দাঙ্গাকারীরা দমকলের একটি হোস পাইপ কেটে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ৬৪ কিলোমিটার দূরের ৬,৬২,০০০ বাসিন্দার বাল্টিমোরে দাঙ্গার কারণে স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও রেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *