Connect with us

ঠাকুরগাঁও

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈলে মে দিবস পালিত

Published

on




আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল: 
সারা দেশের ন্যায় ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে। রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়। এ ছাড়াও শহরের বিভিন্ন দিক থেকে আরো কয়েকটি র‌্যালী বের হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের একটি অংশ শিবদিঘি যাত্রী ছাউনি মোড়ে পথসভা করে। মটর শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মী শ্রমিক সদস্যরা রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ মাঠে আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করে।

এ সময় ঠাকুরগাও-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাষ্টার, অধ্যক্ষ তাজুল ইসলাম, আ’লীগের উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল, শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আঃ কুদ্দুস, শ্রমিক নেতা শামসুল, পরিমুল প্রমুখ। অপরদিকে উপজেলার নেকমরদ বাজারে মে দিবস পালন করা হয়।

 

ঠাকুরগাও রাণীশংকৈলে শ্বশুর বাড়িতে পিস্তলসহ জামাই আটক

 

আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল: 
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল পুর্ব বনগাও থেকে রবিউল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে বৃহস্পতিবার রাতে পিস্তলসহ আটক করেছে রাণীশংকৈল থানা পুলিশ।
থানা সুত্রে জানা যায়, আটক রবিউল জেলার রুহিয়া কুজিশহরের খাদিমুলের ছেলে। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের কলহ লেগে থাকতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী রুবা পিত্রালয়ে কয়েক মাস ধরে অবস্থান করছিল। গত ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে উপজেলার পুর্ব বনগাও গ্রামে তার শ্বশুর মৃত গিয়াসউদ্দিন মেম্বারের বাড়িতে স্ত্রীকে আনতে আসে। ঘটনার দিন রবিউলের চলার গতি বিধি দেখে স্ত্রী রুবার সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোসল করার ফাঁকে রুবা রবিউলের ব্যাগ’র ভিতর পিস্তল দেখে পরিবারের লোকজনকে গোপনে জানায়। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানা পুলিশ রবিউলকে পিস্তলসহ আটক করে রাত সাড়ে ৯ টায় থানায় আনে। এ ব্যাপারে অস্ত্র আইনে রবিউলের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ সুকুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Najor Ali

শতাব্দীর প্রবীণতম ব্যক্তি এখন রাণীশংকৈলে

 

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: 
ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈল নেকমরদ করনাইট গ্রামের নজর মোহাম্মদকে শতাব্দীর প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে দাবী করছে তার পরিবারের লোকজন।
মৃত তিফাইত হোসেনের ছেলে নজর আলী ১২০ বছর বয়সে দিব্যি সুস্থ জীবন যাপন করছেন । বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৬০ বছর হলেও ১২০ বছর বয়সে তিনি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় চলাফেরা করছেন। মসজিদে নামাজ পড়া, হাট বাজার করা, ফসলি জমিতে নিড়ানি দেওয়া, বাঁশ কাটা, পাটের আঁশ ছড়িয়ে পানিতে ধুয়ে পরিস্কার করার কাজ অনায়াসে করছেন। একাকি যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ান।
করনাইট গ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক নুরুল ইসলাম বলেন, নজর মোহাম্মদের পাঁচ স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। ৭৫ বছর বয়সে বড় ছেলে মারা যায়। মেজ ছেলের বয়স এখন ৭৭ বছর। নজর মোহাম্মদের চারটি বিয়েতে আমার পিতা হাফিজউদ্দিন। নজর মোহম্মদের পুর্ব পুরুষরা বালিয়াডাঙ্গীর হরিণমারি গ্রামে। নজর মোহাম্মদ এখনও লিখতে পড়তে পারলেও কানে খুবই কম শুনেন। তিনি জানান, জমিদারি প্রথা ইংরেজ শাসনামলে বিলুপ্তির সময় ১৯৪৭ সালে তার বয়স ৫০ পেরিয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯৩৯ সাল ও ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিপক্ষে তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন। সে সময় তিনি যুদ্ধে না গেলেও তার পরিচিত অনেকেই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন, তাদের কেউ বেঁচে ছিলেন। বালিয়াডাঙ্গী হরিণমারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯০১ সালে ভর্তি হয়ে ৩য় শ্রেণি লেখাপড়া করেণ।। বাঁশের কলম বানিয়ে কলা পাতায় লিখে পড়ালেখা করতে হতো সে সময়।
১২০ বছর বয়সেও অনায়াসে বইয়ের পাতা পড়তে পারেন। দৈনন্দিন আয়-ব্যয়ের হিসেব খাতায় লিখে রাখেন। প্রতিনিয়ত আহারের সাথে দুধ পান, পরিশ্রম এবং জীবনে নিয়মানুবর্তিতার কারনে এখনও সুস্থ আছেন তিনি। নজর মোহাম্মদের পঞ্চম স্ত্রী ৫৮ বছর বয়সী রেবেকা স্বামীর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বলেন, এ বয়সেও তার স্বামী সুস্থাবস্থায় একাকি চলাফেরা করতে পারছেন বলে আল্লাহ তা আলার কাছে শুকরিয়া।

ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, নজর মোহাম্মদকে ছোট বেলা থেকে তিনি এমনই দেখে আসছেন। তার দাদারা নজর মোহাম্মদের সম বয়সী শুধু ঠাকুরগাও জেলা নয় উত্তর বঙ্গের কোথাও নজর মোহাম্মদের চেয়ে বেশি বয়সের মানুষের সন্ধান মিলেনি।

ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
রাণীশংকৈল কাতিহারে মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মেলার নামে চলছে অশ্লীলতা

 

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: 
ঠাকুরগাও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মেলার নামে কাতিহার উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমকি বিদ্যালয় সংলগ্ন স্থানে দুস্থ ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়নের নামে মাসাধিককাল মেলার আয়োজন করা হয়েছে। মেলার নামে চলছে হাউজি, জুয়া, লটারি আর অশ্লীল নৃত্যের রমরমা বানিজ্য।
মেলার পার্শ্ববর্তী অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা স্কুল ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন মেলায় এসে ভিড় করছে। এতে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। শ্রমিক দিন মজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মোটর সাইকেল, চার্জার গাড়ি, অটো রিক্সা পাওয়ার আশায় কষ্টার্জিত টাকায় টিকিট কিনে নিস্ব হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে লটারির আয়োজকরা প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে গড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রাত ১১ টা বাজলে শুরু হয় লটারি ড্র নামে প্রতারণার প্রতিযোগিতা। স্থাণীয় ক্যাবলের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারে সুর বেজে উঠে যদি লইগ্যা যায় মোটর সাইকেল-অটোরিক্সা উঠা-ও-ও-ও বাচ্চা- লটারির টিকিট। অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনের যোগ সাজসে অবৈধভাবে লটারির টিকিট বিক্রী চলছে। সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অশংখ্য অটো রিক্সা ও পিক আপ গাড়িতে বাদ্য যন্ত্র ও মাইক লাগিয়ে ১০ টাকা দামের (প্রতিদিন ড্র) সততা নামে লটারির টিকিট বিক্রী করছে। পুরস্কার পাওয়ার আশায় সাধারণ মানুষ বিশেষ করে রিক্সা শ্রমিক, কারখানা শ্রমিক, হোটেল কর্মচারি, দিন মজুর ও ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা প্রত্যেকে ৫-২০টি করে টিকিট ক্রয় করছেন প্রতিদিন। ভ্যান চালক অনিল, সুবাস দিন মজুর তারা মিয়া সুজন আলী ও হোটেল কর্মচারী রফিক, ইউসুফ তারা প্রত্যেকে জানায় মোটর সাইকেল ও অটো রিক্সা পাওয়ার আশায় ১০ দিন ধরে ৮-১৩’শ টাকার টিকিট কিনেও কোন পুরস্কার পায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক টিকেট বিক্রেতা জানায়, মালিকের পক্ষে তারা টিকিট বিক্রী করছে এতে প্রশাসনের অনুমোদন রয়েছে কিনা তা তারা জানেনা। অপর এক টিকেট বিক্রেতা বলে, অহেতুক তাদের জিঙ্গেস করে লাভ নেই বা পত্রিকায় লিখে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এলাকাবাসি অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, মেলায় অশ্লিল নৃত্য পরিবেশন, জুয়া, হাউজি, উঠাও বাচ্চা লটারি চলছে। এর প্রভাব চলতি এইচএসসিসসহ ডিগ্রী স্তরের পরীক্ষার্থীদের উপর। অশ্লীল নৃত্যে ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্করা এসব নৃত্য দেখে খারাপ পথে ধাবিত হচ্ছে। বাড়ছে ইভটিজিংসহ নানা অসামাজিক কর্মকান্ড। অবিলম্বে এলাকাবাসি এসব বন্ধের জোর দাবি জানান।
অথচ গত ৯ এপ্রিল মেলার উদ্বোধন থেকে প্রশাসনের চোখে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত এসব অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে মেলা কমিটি।
মেলা পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, মুক্তি সিরাজুল ইসলাম আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে দেড় লক্ষ টাকা দাবি করলে তাকে এড়িয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মেলা চালিয়ে যাচ্ছি।
মেলা কমিটির সম্পাদক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি এক লক্ষ টাকা মুক্তিযোদ্ধা ফান্ডে চেয়েছিলাম তখন থেকে আমার সাথে তারা কেউ যোগাযোগ না রাখায় মেলা বন্ধের জন্য ইউএনও এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বরাবর আবেদন করেছি।
এ ব্যপারে মেলা কমিটির সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান জিতেন্দ্র নাথ জানান, মেলার প্রয়োজনে এসব করা হচ্ছে। মেলার অনুমতির ব্যাপারে বলেন দু’দিন আগে মেলার পারমিশন পেয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম’র সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *