Connect with us

খেলাধুলা

পিছিয়ে বার্সেলোনা

Published

on

স্পোর্টস ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বুধবার রাতে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ। ন্যু-ক্যাম্পে স্প্যানিশ ও জার্মান জায়ান্টরা উত্তাপ ছড়াবেন। ২০১২ সালে বার্সেলোনার দায়িত্ব ছাড়ার পর এই ম্যাচ দিয়ে প্রথমবারের মতো ন্যু-ক্যাম্পে ফিরছেন বায়ার্ন কোচ পেপ গার্দিওলা। ফলে জমজমাট ম্যাচটি গার্দিওলার জন্য আবেগের ম্যাচও বটে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাঁচটি শিরোপা জয় করা বায়ার্ন মিউনিখ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার অন্যতম সেরা দল। অন্যদিকে বার্সেলোনা মাত্র চারবার ইউরোপ-সেরার মুকুট পড়লেও গেল ১০ বছরে একমাত্র দল হিসেবে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ২০০৫-০৬ থেকে এই পর্যন্ত তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠে তিনবারই শিরোপা জেতে কাতালান জায়ান্টরা। তবে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে বেশ পিছিয়ে বার্সেলোনা। এমনকি নিজেদের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পেও জার্মান জায়ান্টদের বিপক্ষে পিছিয়ে রয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। বুধবার বার্সেলোনা-বায়ার্ন মিউনিখ মুখোমুখি হওয়ার আগে পাঠকদের জন্য দুই দলের পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হলো।
তথ্য ও পরিসংখ্যান:
. বায়ার্ন মিউনিখ টানা চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলতে যাচ্ছে। ক্লাবের পক্ষে এটি রেকর্ড।
. টানা সেমিফাইনাল খেলার রেকর্ডে বায়ার্নের চেয়ে দুটি দল এগিয়ে রয়েছে। বার্সেলোনা ২০০৮-১৩ টানা ৬ মৌসুম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল খেলে সবার ওপরে রয়েছে। অন্যদিকে রিয়াল মাদ্রিদ ২০১১ থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার সেমিতে খেলছে।
. বার্সেলোনার বিপক্ষে ন্যু-ক্যাম্পে বায়ার্ন মিউনিখের রেকর্ড ঈর্ষণীয়। কাতালানদের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৪ ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে জার্মান জায়ান্টরা। সর্বশেষ ২০১৩ সালের মে মাসে স্বাগতিক বার্সেলোনাকে ৩-০ গোলে হারায় বাভারিয়ানরা।
. ২০০২-০৩ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা আট ম্যাচ জিতেছে বার্সেলোনা। এই ৮ ম্যাচে ২.৫ গড়ে ২০ গোল করেছে কাতালান জায়ান্টরা।
. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ১৯৭ মিনিট ধরে কোনো গোল করতে পারেনি বার্সেলোনা। ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল সিদু কেইতা বার্সেলোনার হয়ে সর্বশেষ বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গোল করেন।
. চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বল দখলের লড়াইয়ে বায়ার্ন মিউনিখ (৬৬.১%) ও বার্সেলোনা (৬৩.৯%) অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে।
. বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৬৬ ম্যাচ খেলে ২৭ গোল করেন টমাস মুলার। আর কোনো জার্মান খেলোয়াড় ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এতো গোল করতে পারেননি।
. বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে বার্সেলোনার করা সর্বশেষ ৫ গোলের ৩টিতেই অবদান রয়েছে লিওনেল মেসির। আর্জেন্টাইন তারকা ২টি গোল করেন ও অপর গোলে অ্যাসিস্ট করেন।
. বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লড়াইয়ে বার্সেলোনা বেশ পিছিয়ে রয়েছে। দুই দলের সর্বশেষ ৮ সাক্ষাতে মাত্র ১টি জয় পেয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। অন্য সাত ম্যাচের ২টি ড্র হয় ও অপর পাঁচটিতে জয় পায় জার্মান জায়ান্টরা।
. ২০১২-১৩ মৌসুমে বায়ার্নের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠ ন্যু-ক্যাম্পে ৩-০ গোলে হেরে বিদায় ঘটে বার্সেলোনার।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *