আন্তর্জাতিক
বিশ্বযুদ্ধের বিপর্যয় পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না চীন
চীন এমন এক সেনাবাহিনী তৈরি করছে যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো বড় ধরনের সংকট আবারও সৃষ্ট হলে পূর্বের দুর্গতির পুনরাবৃত্তি আর হতে দেবে না। সেনাবাহিনীর এক মুখপত্র লিবারেশন আার্মি ডেইলি চীনের রাষ্ট্রপ্রধান ঝি জিনপিং বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রতিফল হিসেবে চীন প্রচণ্ড ভুগেছে, বিশেষত জাপানের হাতে। ভয়াবহ সেই ভোগান্তির পর মানুষ এখন সচেতন। আরও একবার বিপর্যয় সৃষ্ট হলে পূর্বেকার শোচনীয় পরিস্থিতির আর পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সেদিকে খেয়াল রেখেই সুসংগঠিত করা হচ্ছে চীনের সেনাবাহিনী। ২০১৩ সালে ঝি জিনপিং ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে চীনের সেনাবাহিনীতে দুটো ব্রহ্মাত্র যুক্ত হয়েছে। এক- গেরিলা পদ্ধতিতে আক্রমণ পরিচালনাকারী আত্মগোপনকারী দক্ষ সৈনিক, যাদের বলা হচ্ছে স্ঠিলথ ফাইটার এবং দুই- স্যাটেলাইটের নজরদারি এড়িয়ে যেতে সক্ষম ক্ষেপণান্ত্র। যুক্তরাষ্ট্র এবং দূর-প্রাচ্য এলাকার অপরাপর দেশ এ নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বিভিন্ন সময়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। ভবিষ্যত মিত্রতার স্মারক হিসেবেই যেন ঝি জিনপিং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপনী দিবস যাপন করতে গেলেন রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ এবং জাপান যখন একদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-সমাপনী পালনের জন্যে একীভূত হচ্ছে, তখন পৃথভাবে একীভূত হচ্ছে রাশিয়া ও চীন। বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক কূটনৈতিক হালচাল মূলত তেমন একটা পরিবর্তিত যে হয়নি, এমন পৃথক সমাপনী-যাপন সেটিই বিশ্ববাসীর কাছে পরিষ্কার করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।