প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পার্শবর্তী রামরাম গ্রামের জাভেদ আলীর পুত্র ৭ম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর (১৩) সকাল ১১ টার দিকে বন্ধুদের নিয়ে বালাচর গ্রামের একটি বোরো ধান কেটে নেয়া জমিতে ক্রিকেট খেলছিল। এক পর্যায়ে সে জমিতে পড়ে থাকা পল্লী বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দরিদ্র পরিবারের গৃহবধু আমেনা ওরফে বাচ্চানী(৩৫) তাকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে তিনিও ঐ তারে জড়িয়ে পড়লে সেখানেই দু’জনের মৃত্যু ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে এ মৃত্যুর খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা অবৈধভাবে বিদ্যুত লাইন নেয়া ঐ ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘর ও আসবাব পত্রের ব্যাপক ভাংচুর করে। এ সময় গৃহকর্তা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুতের জনৈক লাইনম্যানের সহায়তায় লালমিয়া ৪ মাস আগে তারই ১ হাজার ফিট দুরত্বের সেচ লাইন থেকে অবৈধভাবে বাড়িতে নিম্নমানের তার দিয়ে সংযোগ নেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, বিপদজনক ঐ সংযোগ লাইনটি ৪ দিন আগে মাটিতে পড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার ঐ তারে একটি গরু স্পৃষ্ট হলে প্রতিবেশীরা বিষয়টি লালমিয়াকে জানালে উল্টো সে তাদেরকে দা উঁচিয়ে কোপাতে যায় এবং নানা রকম গালা-গাল ও হুমকি-ধামকি দিয়ে থামিয়ে দেয় । হত দরিদ্র পরিবারের আমেনা মাত্র ৩ দিন আগে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা কর্জ নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে কান্ট্রি প্রগ্রামের উপকার ভোগীর তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করেছিল।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জমির উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।