Connect with us

দেশজুড়ে

১ মণ ধানে মিলছে না দু’জন শ্রমিকের মজুরি

Published

on

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও:
চলতি মৌসুমে উপজেলার সর্বত্রই শুরু হয়েছে ইরি বোরো ধান কাটা। ফলন ভাল হলেও মূল্য কম হওয়ায় স্বস্তিতে নেই কৃষক। তার উপর সপ্তাহ খানেক আগের বাজারদরটা পরে গিয়ে অবস্থা আরও বেগতিক কৃষকদের। কিছুদিন আগেও ধানের মণ ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হতো এখন তা কমে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় নেমে গেছে।
জানা গেছে, আগের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে অনেক বেশি। গত বছর উৎপাদন ব্যয় ছিল প্রায় ১৬ টাকা আর এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ টাকায়। ফলে কৃষকের ধান উৎপাদন খরচও উঠছে না। ধানের বিক্রয় মূল্য থেকে উৎপাদন মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
সরকারিভাবে বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করলেও হাট বাজারে তার বিন্দু মাত্র প্রভাব পড়ে নি।
যেখানে বাজারে বোতলজাত ১ লিটার পানি কিনতে হচ্ছে ২০-২৫ টাকায় আর ১ কেজি ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৮-১২ টাকায়। প্রতি বিঘা ধান চাষ করতে চাষাবাদ, সেচ, আইল ছাঁটা, ধানের চারা লাগানো ও কাটা, রাসায়নিক ও গোবর সার, কীটনাশক প্রয়োগ, শ্রমিক মজুরি বাবদ প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। ধান বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা।
উপজেলার নেকমরদ বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা আক্তার আলী, আ. মতিন, সোহরাব জানায়, এক মণ ধান বিক্রি করে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দু’জন শ্রমিকের ৬০০ টাকা মজুরি দিতে পারছি না। আগের তুলনায় কৃষককে প্রতিমণ ধানে ৩-৪’শ টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে। এ ছাড়া বর্গাচাষিদের বেলায় আরো মরণ। এদের উৎপাদন খরচ অনেকগুণ বেড়ে যায় ।
কাতিহার বাজারে ধান বিক্রি করতে আসা কয়েকজন কৃষক ক্ষোভের সাথে জানায়, যত মরণ কৃষকের। সার, বীজ, কীটনাশক কেনার সময় প্রতারিত হতে হয়। আবার ধান বিক্রির সময় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
চাল ব্যবসায়ী এন্তাজুল বলেন, যে চাল বিক্রি হতো ৩২ টাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৫ টাকায়।
কৃষি অফিস সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে বোরো চাষ করা হয়েছে ৮৫০০ হেক্টর ও আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে ২৭০০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম জানান, ধান কাটাকাটি এখনও পুরোদমে শুরু হয় নি। তবে ধানের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কৃষক দেশের মেরুদণ্ড তাদের কথা আমাদের ভাবতে হবে।
দেশের কৃষক জাতির মেরুদণ্ড সে দেশে কৃষকের অশ্র“সজল কতটুকু সুখের ঠিকানা এনে দিতে পারে এমন প্রশ্ন কৃষকের। সরকার কৃষক বান্ধবের ঘোষণা দিলেও বাস্তবতা কতটুকু রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *