Connect with us

জাতীয়

মুচলেকা দিয়ে জামিন পেলেন রুবেল, হ্যাপির নারাজি

Published

on

1_81791 (1)
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপির করা মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দিয়েছেন আদালত। ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলাম আজ রবিবার রুবেলের জামিন মঞ্জুর করেন।

এদিকে এই মামলা থেকে রুবেলকে অব্যাহতি দিয়ে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে নারাজি দিয়েছেন অভিনেত্রী হ্যাপি। নারাজি আবেদনের ওপর ২০ মে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।একই আদালতে রবিবার নিজেই হাজির হয়ে এ নারাজি আবেদন করেন হ্যাপি। অন্যদিকে রুবেল আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।

২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন যে, ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন বলেও অভিযোগে বলা হয়।

রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চলতি বছরের ২৯ মার্চ অব্যাহতির চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক হালিমা খাতুন।

এরপর ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ১৯ এপ্রিল ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ মামলাটি বদলি করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলাম অব্যাহতির শুনানির জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপি প্রাপ্তবয়স্ক ও মিডিয়াতে কাজ করা একজন সচেতন আধুনিক ব্যক্তি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া তিনি যদি রুবেলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন তাহলে সেটা তার সম্মতিতে হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতিদানের প্রার্থনা জানানো হলো।

এ বিষয়ে হ্যাপির আইনজীবী তুহিন হাওলাদার বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর আজ আমরা নারাজি দিয়েছি। যে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। সেখানে জানানো হয়েছে, সাক্ষী পাওয়া যায়নি। অথচ সাক্ষীর একটি তালিকা আদালতে ইতিমধ্যে পেশ করা হয়েছে। তারা বাদীর কাছে সাক্ষীর জন্য কোনোরকম তালিকাও চায়নি।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *