বিনোদন
বলিউডে দীপিকাদের হিরোগিরি
বিনোদন ডেস্ক:
মুম্বাইয়ের বলিউডি সিনেমার চেনা মানচিত্রটাই যেন পাল্টে গেছে। পাল্টে দেওয়ার কাজটি শুরু হয়েছিল অনেক আগে থেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে তা দারুণভাবে করে চলেছেন দীপিকা-প্রিয়াঙ্কা-কঙ্গনারা। তাদের হিরোগিরির দাপটে প্রায় ম্রিয়মান বলিউডের তাবড় নায়করা। আগে বলিউডি সিনেমায় নায়িকা মানেই সুন্দর দেখতে হওয়া আর বাঁধা গতে কিছু কাজ করা ছাড়া বিশেষ কিছু করার ছিল না। বরাবরই নায়িকারা তাই হটকে চরিত্র খুঁজেছেন। একটা ‘সীতা অউর গীতা’ কিংবা ‘সদমা’ পেলে হেমামালিনী ও শ্রীদেবীরা প্রমাণকরে দিয়েছেন নায়িকারাও কী করতে পারেন। নব্বইয়ের ভরা রোমান্সেও মাধুরী দীক্ষিত, কাজলরা কোনও কোনও ছবিতে নায়িকার চেনা খোলস থেকে বেরিয়ে এসে অভিনেত্রী হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছেন। শাবানা আজমিদের যে ঘরানা ছিল তা যেন স্বরূপে প্রকাশ পেল বিদ্যা বালানের সময়ে পৌঁছে। নারীকেন্দ্রিকের তকমা সরিয়ে দিয়ে তার হাতেই বিলউডের মেইনস্ট্রিম ছবিই নারীদের দিকে প্রাধ্যাণ্য দিতেশুরু করল। সেই পথ বেয়েই এসেছেন দীপিকা পাড়–কোন, আনুশকা শর্মা, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানাওয়াতরা। এবারের জাতীয় পুরস্কারের তালিকাতেই বলিউডের এ পরিবর্তন টের পাওয়া যায়। এবার সেরা ছবি হয়েছে মেরি কম। এবং যেছবির জন্য কঙ্গনা রানাবত সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন, সেই ‘কুইন’ও আদতে নারীদের কথাই বলে। আনুশকা শর্মার ‘এনএইচ টেন’ তুমুল ব্যবসায়ীক সাফল্য না পেলেও সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। আর দীপিকার ‘পিকু’ এসে তো সমীকরণটাই বদলে দিয়েছে। এ ছবি বক্সঅফিসের কৃপা তো পেয়েছেই, সেইসঙ্গে ছবিতে অমিতাভ-ইরফান থাকা সত্ত্বেও বাজিমাত করেছেন ‘পিকু’ দীপিকা। একই সঙ্গে সমসাময়িক নায়করা অনেকটাই ম্রিয়মান। শাহরুখ, আমির, সালমানদের কথা ছেড়ে দিলে, শাহিদ কাপুরের ‘হায়দার’ ছাড়া নায়কদের বলার মতো তেমন পারফর্ম্যান্স নেই। এমনকী মার খেয়েছেন চকোলেট বয় রণনীরও। বলিউডের এই গতি দেখে অনেকেই বলছেন, আপাতত হিরোদের দিন শেষ। বলিউডে এখন নায়িকাদেরই হিরোগিরি দেখানোর পালা।