জাতীয়
মাইক্রোবাসে ধর্ষণ : মামলা নিতে বিলম্ব কেন অসাংবিধানিক নয়
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম।
এর আগে গতকাল রোববার নারীপক্ষ, মহিলা পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং ব্লাস্ট- এই মানবাধিকার সংগঠনগুলো রিট আবেদন দায়ের করেন।
রুল ছাড়াও আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে থানায় ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, লিঙ্গ ও জন্ম পরিচয় নির্বিশেষে বৈষ্যমহীনভাবে সবার সেবা নিশ্চিতে একটি সার্কুলার জারি করার জন্য স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি ও পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ছাড়া যৌন হয়রানি ও যৌন সহিংসতা রোধে বিদ্যমান আইন ও প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আইনজীবী ও নারী অধিকারকর্মীদের নিয়ে একটি কমিটি করতে আবেদনকারীদের কাছে নামের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩১ মের মধ্যে এই তালিকা আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে কাজ শেষে ওই তরুণী যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে উত্তরার বাসায় যেতে বাসের জন্য একটি সিএনজি স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় ছাই রঙের একটি মাইক্রোবাস তার সামনে এসে থামে। মাইক্রোবাস থেকে দুই যুবক নেমে এসে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। গাড়িতে তুলেই তার মুখ ও হাত-পা বেঁধে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এরপর গাড়িটি বিভিন্ন সড়কে ঘুরতে থাকে। গাড়ির ভেতরে চালকসহ পাঁচজন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময়ও তাকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখান হয়। পরে রাত ১১টার দিকে উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে তাকে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।