কুড়িগ্রাম
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পাহাড়ী ঢলে ৫০০ হেক্টর জমির পাকা ধান নিমজ্জিত
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা ১৩টি গ্রামের ২ হাজার কৃষকের প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির বোরো ধান নিমজ্জিত হয়েছে। সেই সাথে কালো ও ধরণী নদীতে ভাঙন দেখা দেয়ায় ৫টি বাড়ি ভেঙে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে আরও অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। জানা গেছে, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সীমান্তের ওপারে ভারী বৃষ্টি হয়। এতে তলিয়ে যায় ঘরবাড়িসহ রাস্তাঘাট। ভেঙ্গে গেছে বহুল আলোচিত বড়াইবাড়ি গ্রামে যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ধরণী নদীর বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও জিঞ্জিরাম নদীর সাঁকো ভেঙ্গে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৭ ইজলামারিসহ অন্তত ১০টি গ্রামের। ভেঙ্গে গেছে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক এমপি গোলাম হোসেনের বাড়ি।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বড়াইবাড়ী, চুলিয়ারচর, ঝাউবাড়ী, বারবান্দা, উত্তর বারবান্দা, দক্ষিণ বারবন্দা, কালোচর, চর ইজলামারী, বকবান্দা, খেওয়ারচর, আলগারচর, উত্তর আলগারচর, লালকুড়া গ্রাম তলিয়ে গেছে।
ঝাউবাড়ি গ্রামের জোবাইদুল ইসলাম জানান, ১০ বিঘা জমিতে এবার বোরো আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ করে পাহাড়ি ঢল এসে আমার সব জমি ডুবে গেছে। ৫’শ টাকা দরে কামলা নিয়ে ২ বিঘা জমির আধাপাকা ধান কাটতে পেরেছি। এখনও ৮বিঘা জমির ধান তুলতে পানিনি। একই কথা বললেন, বকবান্দা গ্রামের মোশাররফ হোসেন, খেওয়ার চরের নজরুল ইসলাম, আলগার চরের সৈয়দ জামান, ঝাউবাড়ি গ্রামের আলী মাস্টাসহ অনেকে।
ওই এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী ও আব্দুর রাজ্জাক জানান, এবার অনেক খরচ করে বুখবরা আশা নিয়ে ধান আবাদ করেছে কৃষক। সে ধান না কাটতে পারলে সারা বছর তারা কি দিয়ে চলবে?
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজল হক জানান, এবার সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ হয়েছে। পারিপাশির্^ক পরিস্থিতি ও আবহাও অনুকুল হওয়ায় এবার আবাদ ভাল হয়েছে। প্রথম দিকে ধানের দাম কম থাকলেও আস্তে আস্তে তা পুশিয়ে নেয়ার মতোই হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে পাহাড়ী ঢল এসে সবকিছু এলোমোলো করে দিল। স্বপ্ন চুমার হয়ে গেল কৃষকের।