Connect with us

কুড়িগ্রাম

ঝরে পড়া শিশুদের আদর্শ বিদ্যাপীঠ ভূরুঙ্গামারী শাপলা শিশু শিখন কেন্দ্র

Published

on

Schoolনাগেশ্বরী (কড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের সীমান্ত উপজেলা ভূরুঙ্গামারীতে স্থানীয় বিদ্যানুরাগীদের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে ঝরে পড়া শিশুদের নিয়ে একটি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম । বিদ্যালয়গামী অথচ ঝোরে পড়া শিশুদের নিয়ে কাজ করা ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির নাম ‘ শাপলা শিশু শিখন কেন্দ্র ’ । উপজেলার পাইকর ছড়া ইউনিয়নে মাল্টিগ্রেড পদ্ধতিতে ১০ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে একযোগে চলছে শিশুদের ঝোরে পড়া রোধে পরিচালিত বিদ্যালয়টির কার্যক্রম । গ্রামের ভাড়া করা ছন-বাঁশ-টিনের স্কুল ঘরগুলোর কাঁচা মেঝেতেই শিশুরা সুশৃঙ্খলভাবে ক্লাশ করছে । বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সুন্দর আচরনে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য । প্রি ওয়ান থেকে ৪র্থ শ্রেনী উত্তীর্ন হওয়ার পর পরবর্তীতে ঐ বিদ্যালয়ের শিশুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনীতে ভর্তি হয় । শুরুতে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিসিডিবি ইউনিক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করনে এ ধরনের বিদ্যালয় গঠন ও পরিচালনায় সহায়তা দেয় । একইসাথে তখন তারা শিক্ষক- শিক্ষিকার সম্মানী ভাতাসহ বিদ্যালয়ের যাবতীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করতো । কয়েক বছর পৃষ্ঠপোষকতার পর ২০১২ সালের অক্টোবরে সিসিডিবি বিদ্যালয়টির সমস্ত দায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে স্থানীয় শাপলা শিশু শিখন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির কাছে হস্তান্তর করে । তখন থেকে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের নিয়ে গঠিত ঐ পরিচালনা কমিটি নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থাপনায় উক্ত বিদ্যালয়টি কার্যক্রম চালিয়ে আসছে । ইতিমধ্যে বিদ্যালয়টির ইতিবাচক কার্যক্রম সুধী মহলে কিছুটা সাড়া জাগিয়েছে । কিছুদিন পূর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যালয়টির কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে সন্তুষ্টি প্রকাশ ও এর সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে । পাইকের ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান নজির হোসেন বলেন , “ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি অত্র ইউনিযনে পরিচালিত ‘ শাপলা শিশু শিখন কেন্দ্র ’ শিশুদের শিক্ষা প্রদানে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে । বিদ্যালয়টি নিয়ে আমরা আশাবাদী ।” শাপলা শিশু শিখন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ ও পরিচালক ডাঃ মোঃ আব্দুল লতিফ বলেন , “ সামাজিক দায়বদ্ধতা¡ থেকেই আমরা বিদ্যালয়টি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি । অনেক স্বপ্নের মাঝে আমরা এলাকার প্রতিটি শিশুর হৃদয়ে শিক্ষার আলো জ্বেরে দেয়ার স্বপ্নও দেখি । কিন্তু আমাদের প্রতিটি স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে যেন বরাবরই আকাশ-পাতাল ব্যবধান রয়ে যায় । এখানেও তেমনটি ঘটেছে । ৪ বছর যাবৎ বিদ্যালয়টি পরিচালনার করার পর আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে বর্তমানে আমরা হিমশিম খাচ্ছি । ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা অন্য কোন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা এগিয়ে এলে হয়তো ঝোরে পড়া এসব শিশুদের নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সহজ হবে । তবে সামর্থ্যরে শেষটুকু দিয়ে স্কুলটিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।”

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *