জাতীয়
স্থলসীমান্ত প্রটোকলসহ ২২টি চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সন্ত্রাস নির্মূল, দুটি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ৫৪টি অভিন্ন নদীর ব্যবস্থাপনায় একযোগে কাজ করাসহ ২২টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, প্রটোকল ও সম্মতিপত্র সই হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকের পর এ চুক্তিগুলো হয়।
শনিবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে এই দুই নেতার উপস্থিতিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে সীমান্ত চুক্তি প্রটোকল সই হয়।
এছাড়া, বাংলাদেশকে ২০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেবে ভারত। শীর্ষ বৈঠক শুরুর আগে দুই নেতার উপস্থিতিতে ঢাকা-শিলং-গোহাটি এবং কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটের বাস সার্ভিস উদ্বোধন করা হয়।
এরপর স্থল সীমান্ত চুক্তি প্রটোকল সইয়ের পর শীর্ষ বৈঠকে বসেন দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা। উভয় দেশের সীমান্ত শান্তিপূর্ণ রাখা এবং পারস্পারিক সহযোগিতা বজায় রাখতে আবারো দু’দেশ অঙ্গীকার করে। এছাড়া, বৈঠকে ৫৪টি অভিন্ন নদীর ব্যবস্থাপনায় একযোগে কাজ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়। ভারতের গোহাটিতে বাংলাদেশ মিশন এবং খুলনা ও সিলেটে ভারতীয় মিশন খোলার ব্যাপারে উভয় দেশ সম্মত হয়।
এছাড়া, বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যে সমতা আনতে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের জন্য মংলা ও ভেড়ামারায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে সম্মত হয় দু’দেশ।
বৈঠকের পর দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোট ২২টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, প্রটোকল ও সম্মতিপত্র সই হয়।
চুক্তির বিষয়ের মধ্যে রয়েছে-দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, উপকূলীয় জাহাজ চলাচল, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বিএসটিআই ও বিআইএসের মধ্যে সহযোগিতা, ঢাকা-শিলং-গোহাটি বাস সার্ভিস, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস।
সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে যেসব বিষয়ে, সেগুলো হলো – বাংলাদেশ ও ভারতের কোস্ট গার্ডের মধ্যে সহযোগিতা, মানব পাচার রোধ, জালনোট বিষয়ক, ২০০ কোটি ডলারের ঋণ, বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরে সামুদ্রিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার, আখাউড়ায় ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথ লিজ বিষয়ে বিএসএনএল ও বিএসসিসিএলের মধ্যে সমঝোতা।
এছাড়া, এ সময় অভ্যন্তরীণ নৌ ট্রানজিট ও বাণিজ্য প্রটোকল এবং বাংলাদেশে লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশনের কার্যক্রম শুরু নিয়ে সম্মতিপত্রও সই হয়।
বৈঠকের আগে, ঢাকা-শিলং-গোহাটি এবং কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটের বাস সার্ভিসের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী।