খেলাধুলা
সুজনের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার
স্পোর্টস ডেস্ক:
জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার হিসেবে পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নাটকীয়ভাবে ‘পদত্যাগপত্র’ প্রত্যাহার করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। ভারত সিরিজে তিনি ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন। সুজন বলেছেন, বোর্ডের গোপন কিছু বিষয় গণমাধ্যমে চলে এসেছিল। এরকম বিষয় মিডিয়ায় চলে গেলে তার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব নয় বলে তিনি যে চিঠি দিয়েছিলেন সেটাও গণমাধ্যমে চলে আসে। এরকম বিষয়ে হতাশা থাকলেও পরে তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। বিসিবির একাধিক সূত্র জানায়, জাতীয় ক্রিকেট দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন পদত্যাগের কথা জানানোর পরই বোর্ডের শীর্ষ পর্যায় থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি দায়িত্ব অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তার পাঠানো চিঠিকে পদত্যাগপত্র না বলে শুধু দায়িত্ব পালনে অপরাগতাপত্র হিসেবে উল্লেখ করেন খালেদ মাহমুদ সুজন। বিশ্বকাপের সময় থেকে জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা সুজনকে শনিবারই ভারত সিরিজের জন্য ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ দেয় বিসিবি। কিন্ত রোববার জাতীয় দলের অনুশীলনে না গিয়ে সুজন জানান, তিনি আর ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করতে চান না। তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, সাবেক জাতীয় অধিনায়ক সুজন বিসিবির একজন পরিচালক হলেও বোর্ডে প্রভাবশালী আরেক সাবেক জাতীয় অধিনায়কের সঙ্গে মতবিরোধের কারণেই ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। ম্যানেজারের দায়িত্ব ছাড়ার কথা বললেও তিনি অবশ্য বোর্ডে থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছিলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবে তার ভাতা নিয়ে বিতর্ক উঠায় সুজন সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ম্যানেজাররা সাধারণভাবে ভাতা নিলেও সুজনের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম হয়েছে। তিনি যে বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরি করেন সেখান থেকে খেলা চলার সময় ‘অবৈতনিক ছুটি’ নিতে হয় বলে বিসিবি থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন সুজন। তিনি যেহেতু একইসঙ্গে বোর্ডের পরিচালক তাই এ নিয়ে বোর্ডের ভেতর থেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন এক বা একাধিক পরিচালক। তবে কয়েকজন পরিচালক জানিয়েছেন, মাত্র দু’দিন পর ভারত সিরিজের আগে ম্যানেজারের সরে দাঁড়ানোর ঘটনা টিমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারতো। বোর্ড তাই দ্রুত সমস্যাটির সমাধান করেছে। সুজন দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাই স্বস্তি পেয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। তবে ঠিক ভারত সিরিজের আগে এরকম ঘটনার দায়-দায়িত্ব কার জানতে চাইলে খালেদ মাহমুদ সুজন সাংবাদিকদের বলেন, বোর্ডকে বিষয়টি দেখতে হবে। তিনি বলেন, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দূর্জয়কেও দেখতে হবে যে কেনো এরকম কিছু ঘটল। তার শেষের কথার মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্র লুকিয়ে আছে বলে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।