আন্তর্জাতিক
গুজরাটে প্রবল বর্ষণে মৃতের সংখ্যা ৭০ জনে পৌঁছল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গুজরাট রাজ্যে প্রবল বর্ষণ ও বন্যার মতো পরিস্থিতিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আমরেলি জেলায় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এদিকে ভারুচ, জামনগর, কুচ ও রাজকোট জেলায় পাঁচজন করে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সরকারি মুখপাত্র নীতিন প্যাটেল বর্ষণ ও বন্যাজনিত কারণে এ প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছেন। গুজরাট রাজ্য জরুরী নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমরেলিতে বন্যায় ২৬ জন মারা গেছে। সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হচ্ছে আমরেলি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেবভূমি-দ্বারকায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ভাবনগর, জুনাগড় ও সুরেন্দ্রনগরে তিনজন করে মারা যায়। দাহোদ, মেহসানা, মোর্বি ও সুরাটে দু’জন করে এবং খেদা, পোড়বন্দর ও ভালসাদে একজন করে মারা যায়। এদিকে গুজরাট সরকার মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে চার লাখ রুপি করে সাহায্য দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বর্ষণ ও বন্যাজনিত কারণে যেসব পরিবারের সম্পদহানি ঘটেছে সেসব পরিবারকেও সরকার আর্থিক সুবিধা দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় সৌরাষ্ট্রের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে। বুধবারের ভারি বর্ষণের কারণে আহমেদাবাদ নগরীর অনেকাংশই পানিতে নিমজ্জিত এবং সৌরাষ্ট্র এলাকায় নদীর দুকূল ভেসে গেছে। আহমেদাবাদ জেলার স্কুলসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নি¤œাঞ্চলের গ্রামগুলিতে বসবাসকারী লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রাজ্য সরকার সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল এবং তাদেরকে কার্যালয় না ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে বন্যাপ্লাবিত সকল জেলায় রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই জেলা থেকে একশরও বেশি লোককে বিমানে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া সুরাট থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে হাজার হাজার লোক।
মুখ্যমন্ত্রী আনন্দিবেন প্যাটেল গান্ধীনগরে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সকল এলাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের নির্দেশ দেন।