খেলাধুলা
ইংল্যান্ডকে কাঁদিয়ে ফাইনালে জাপান
স্পোর্টস ডেস্ক:
দুর্ভাগ্য সম্ভবত একেই বলে। যে খেলাটি নিশ্চিত অতিরিক্ত সময় কিংবা টাইব্রেকারে গড়ানোর কথা, সেটা কি না নিজেরাই শেষ করে দিল ইংল্যান্ড! নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে জয় উপহার দিল জাপানকে। শেষ পর্যন্ত মহিলা বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকেই কান্নার বিদায় ঘটলো ইংলিশ মেয়েদের। খেলার নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ গোলে সমতা। ৯০ মিনিটের পর চলছিল ইনজুরি টাইমের খেলা। রেফারি শেষের বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায়। এ সময়ই একটি বল এসে পড়ে ইংল্যান্ডের ডি বক্সে। ক্লিয়ার করতে যান লউরা ব্যাসেট। কিন্তু সঠিকভাবে ক্লিয়ার করতে পারেননি, বল চলে যায় গোলরক্ষক কারেন বার্ডসলির কাছে। আচমকা বল চলে আসায় তিনিও ধরতে পারেননি। তার মাথায় লেগে বল আঘাত করে পোস্টের নীচের অংশে। সেখান থেকে সোজা নেটে। শেষ মুহূর্তে অবিশ্বাস্য এ ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েন লউরা ব্যাসেটই। ইংলিশ নারী ফুটবলারদের কাঁদিয়ে তখন বিজয় উল্লাসে মেতে উঠে জাপানের মেয়েরা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো মহিলা ফুটবলের ফাইনালে ঠাঁই করে নিল ব্ল“ সামুরাইরা। ৩৩ মিনিটে আয়া মিয়ামার পেনাল্টি গোলে প্রথম এগিয়ে যায় জাপান। ডি বক্সে সাওরি আরিওশিকে হার্ড ট্যাকল করেন ক্লেয়ারি র্যাফারটি। র্যাফারটিকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে রেফারি সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। মিনিট যেতে না যেতে ফিরতি পেনাল্টি পেয়ে গেলো ইংল্যান্ড। ৪০ মিনিটে জাপানের ডি বক্সে ইউকি ওজিমি ফাউল করেন স্টেফানি হাউটনকে। রেফারি এবারও পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক নেন ফারা উইলিয়ামস। প্রথমার্ধেই ১-১। এরপর খেলার বাকি ৫০ মিনিট একের র এক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ চালিয়েও কেউ গোল আদায় করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আÍঘাতি গোলেই বিদায় ঘটল ইংল্যান্ডের। জার্মানিতে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সুইডেনকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল জাপান। এবং সেই যুক্তরাষ্ট্রেরই মুখোমুখি হয়েছিল তারা। ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় ২-২ গোলে সমতা থাকার পর টাইব্রেকারে শক্তিশালি যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারেরমত বিশ্বকাপ জয় করে জাপান। এবারও ফাইনালে সেই যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হচ্ছে জাপান। যেন চার বছর আগের ফাইনালেরই পুনঃ মঞ্চায়ন।