Connect with us

কুড়িগ্রাম

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ভারতের উচ্চ আদালতে বিচারের জন্য ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের কাছে আবেদন

Published

on

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম পুনরায় সঠিক বিচার পাবার আশায় বুধবার দুপুরে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)এর নির্বাহী পরিচালক কিরীট রায়ের কাছে ফেলানী হত্যা ন্যায় বিচারের কার্যকরী উদ্যোগ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ করে একটি আবেদন জানিয়েছেন।

ভারতের কোচবিহারে বিএসএফ’র বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যা মামলার পুনর্বিচারের রায়ে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে নির্দোষ ঘোষনা করেছে আদালত। ফেলানীর বাবা-মা কন্যা হত্যার অপ্রত্যাশিত এই রায়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, দুই দফা সাক্ষ্য দেয়ার পরও তার মেয়ের হত্যার ন্যায্যবিচার পাননি তিনি। তিনি এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার মতে অমিয় ঘোষের ফাঁসি হওয়া উচিৎ ছিল। তা না করে ভারতের বিএসএফ বিচারের নামে তামাশা করেছে। তাই ভারত সরকারের কাছে সঠিক বিচার পাবার আশায় উপরোক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আবেদন পত্রে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, গত ৭ জানুয়ারী ২০১১ সালে আমার কন্যা ফেলানী খাতুনকে বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের আর্ন্তজাতিক সীমানা পিলার নং ৯৪৭ এর কাছে বিএসএফ সদস্যদের কাছে গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিল। এ ঘটনার পর বিএসএফ তার আদালতে বিএসএফ সদস্য অমিও ঘোষকে অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ গঠন করে। ২ বৎসর ৮মাস পর ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ রায় দেন বিএসএফ এর আদালত। সেই রায় যর্থাথ মনে করেনি বিএসএফ মহাপরিচালক। তিনি রায় পুর্নবিবেচনার আদেশ দিয়েছিলেন। এর পর ২জুলাই২০১৫ বিএসএফ কোর্ট অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে নির্দোষ বলে পুনরায় রায় দেন। এ রায়ে হতবম্ভ হয়ে পড়েন ফেলানীর বাবা।

নুরুল ইসলাম জানান, বিএসএফ অমিয় ঘোষ ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করার কথা আদালতে স্বীকার করার পরও সে নির্দোষ প্রমানিত হওয়ায় আমি বিস্মত ও মর্মাহত। তিনি আরও বলেন আমার কন্যার হত্যাকান্ডে ভারতীয় বিএসএফ যেহেতু সরাসরি জড়িত যে কারণে এর দায় ভারত সরকার তথা ভারতীয় জনগনের । আমার নিরীহ নিরস্ত্র কন্যা ফেলানী হত্যা কান্ডে জড়িত অমিয় ঘোষকে শাস্তি এবং ক্ষতিপুরনের দাবী জানান ভারত সরকারের কাছে। এ ব্যাপারে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুম উচ্চ আদালতে মামলাসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহন করবে বলে ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আইন সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র উপপরিচালক টিপ সুলতান জানান, ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম আমাদের মাধমে ভারতের মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম)এর নির্বাহী পরিচালক কিরীট রায়ের কাছে ভারতের উচ্চ আদালতে কন্যা হত্যার বিচার চেয়ে একটি আবেদন করে। আমরা সার্বক্ষানিক তাকে সহায়তা করবো।

বাংলাদেশ আইন সালিশ কেন্দ্রের সিনিয়র আইনজীবি এ্যাডভোকেট অবন্তী নুর জানান, আমরা ফেলানী হত্যা মামলার অধিকাংশ কাগজ জোগার করে ফেলেছি। আইনি সহায়তার জন্য ভারতীয় দুতাবাস, এবং পরাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করছি। আমরা ফেলানী হত্যা মামলার ন্যায় বিচারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *