পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় স্বামীর পরকিয়ার জেরে মমতাজ বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই গৃহবধূকে স্বামীর পরকিয়ার কারণে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে । বর্তমানে ওই গৃহবধূর স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে বোদা উপজেলার কাজলদীঘি কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের তরঙ্গীপাড়া এলাকার হামেদ আলীর ছেলে সফিকুল ইসলামের (৩৫) সাথে একই গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মমতাজ বেগমের (৩০) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নেয়। সম্প্রতি সফিকুল ওই গ্রামের এক গৃহবধূর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এই নিয়ে সফিকুল ও মমতাজের মাঝে কলহের সৃষ্টি হয়। সফিকুল মমতাজকে বিভিন্ন সময় মারধরও করতো।

বুধবার রাতে একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হলে সফিকুল মমতাজকে মারধর করে। বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের লোকজন তার শোয়ার পাশের ঘরের মেঝেতে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় শ্বশুরবাড়ীর লোকজন মমতাজ আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। খবর পেয়ে বোদা থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে প্রেরণ করে। ঘটনার পরপরই সফিকুল ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত গৃহবধূর পরিবারে পক্ষ থেকে বোদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।