Connect with us

আন্তর্জাতিক

এবার উইঘুরদের আইএস বানানোর চেষ্টা চীনের

Published

on

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  গত সপ্তাহে থাইল্যান্ড থেকে ফেরত পাঠানো ১শ ৯ জন উইঘুর মুসলমানকে এবার ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধা বানানোর চেষ্টা করছে চীন। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থার জিনহুয়ার দাবি এসব উইঘুর মুসলমান তুরস্ক, সিরিয়া ও ইরাকে ধর্মযুদ্ধে যোগ দিতে গিয়েছিল।

চীনের জিনজিয়াং থেকে পালিয় আসা ১শ ৯ জন উইঘুর মুসলমান এক বছর ধরে থাইল্যান্ডে বসবাস করছিল। বৃহস্পতিবার আর্ন্তজাতিক সমালোচনা সত্বেও থাই কর্তৃপক্ষ তাদের চীনে পাঠিয়ে দিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থি বিষয়ক সংস্থা একে ‘ আর্ন্তজাতিক আইনের ঘোর লঙ্ঘন’ বলে মন্তব্য করেছে। মানবাধিকার কর্মীদের আশঙ্কা, ফেরত পাঠানো এসব উইঘুর মুসলমানদের ওপর নতুন করে নিপীড়ন চালাবে চীন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত সপ্তাহে তুরস্কে বিক্ষোভকারীরা থাইল্যান্ডের দূতাবাসে ভাঙচুর চালিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, চীনের দুই কোটি মুসলমান বসবাস করে। এদের অধিকাংশই আবার জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাস করে। উইঘুর সম্প্রদায়ের এসব মুসলমান মূলত তুর্কি বংশোদ্ভূত এবং তারা তুর্কি ভাষায় কথা বলে। মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, চীন এসব মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে থাকে। চলতি বছর উইঘুরদের ওপর রোজা রাখার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চীনা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার চীনা সরকারি বার্তা সংস্থা দেশটির জননিরাপত্তা মন্ত্রনালয়ের উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১শ ৯ জন অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশী জিহাদে যোগ দিতে রওনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৩ জন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং চীন থেকে পালিয়ে যায়, আরও দুইজন কারাগার থেকে পালিয়ে গেছে।

রোববার এ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের মুখপাত্র দিলক্সাত রাক্সিত বলেন, ‘রাজনৈতিক নিপীড়নের কারণে চীন নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে এবং উইঘুরদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে নিজের দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তথাকথিত মৌলবাদি তারাই যারা চীন থেকে পালিয়ে যাওয়ার আশা করে এবং কোন নিরাপদ ও স্বাধীন দেশে স্থায়ী ও সম্মানজনকভাবে বাঁচার চেষ্টা করে।’

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *