Connect with us

দেশজুড়ে

নীলফামারীতে ভিজিএফের ১০০ বস্তা চাল আটক

Published

on

নীলফামারী : নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়া ভিজিএফের কাডের ৫০ কেজি ওজনের ১০০ বস্তা চাল আটক করে তা উদ্ধার করেছেন  উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান।

বুধবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের পরিষদ সংলগ্ন দুটি গুদাম থেকে এই চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমার শাহ কে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গাঁ-ঢাকা দিয়েছেন।

অভিযোগ মতে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ওই ইউনিয়নের ছয় হাজার ভিজিএফের কাডের চাল বিতরন করা হচ্ছিল বুধবার সকাল থেকে। কিন্তু দুপুর ১২টা পর ইউপি চেয়ারম্যান কাডধারীদের ১০ কেজির স্থলে ৭ কেজি করে চাল দিতে থাকেন। এ নিয়ে সেখানে কাডধারীরা বিক্ষোভ করলে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের ধাওয়া করে ভাগিয়ে দেন। এরপর চাল শেষ হয়ে গেছে আর বিতরন করা হবেনা বলে ঘোষনা দেয় ইউপি চেয়ারম্যান। এতে পাঁচশত কাডধারী চাল না পেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন। দুরাকুটি গ্রামের ভিজিএফ কাডধারী আনোয়ারুলের স্ত্রী মারুফা ও আলমের স্ত্রী মোহনা বেগম জানান এলাকার ৫০০ কাডধারী চাল পাইনি। তাই তারা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। এদিকে অভিযোগ পেয়ে বেলা ৩টার দিকে নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদে তালা ঝুলিয়ে আর আগেই ইউপি চেয়ারম্যান সহ ইউপি সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নান্নুর বাজারের দুইটি গুদামে নির্বাহীঅভিযান চালানো হয়। অভিযানে মহির উদ্দিনের গুদামে ৮১ বস্তা ও রাজু মিয়ার গুদামে ১৯ বস্তা সহ ১০০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী জানান ইউপি চেয়ারম্যান তার কাছে ১০০ বস্তা চাল বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই চাল ক্রয় করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ওই চাল অপর দুই চাল ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ইউএনও ও পুলিশ উদ্ধার করলেন। এতে পরিস্কার হলো ইউপি চেয়ারম্যান ওই চাল বিক্রি করেছেন।

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *