দেশজুড়ে
যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে কুষ্টিয়ার মিরপুর-ভেড়ামারা সড়ক
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা-মিরপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জি.কে) প্রধান খালের উপর মিরপুর উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া নামক স্থানে অর্ধশত বছরের একটি ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজটি মিরপুর উপজেলার সাথে পাশ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলায় সড়ক পথে যাতায়াতের অন্যতম প্রধান সেতু।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেতুটির রেলিং ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে ন্যাড়া সেতুতে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি সেতুটির পাটাতনও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেতুটি দিয়ে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন শতশত বালিবোঝাই ট্রাক, লোকাল বাস, মাইক্রোবাস, ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটির ঝুঁকিপূর্ণ দিক বর্ণনা করে জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য সংবাদ প্রকাশিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে নি। গত বছরের ১৭ অক্টোবর ওই সেতু দিয়ে স্কুলে যাবার সময় পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিশু ইভা ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে নিহত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ জেলা প্রশাসক, উপজেলা চেয়ারম্যান অতি সত্বর সেতুটি নির্মাণের আশ্বাস দেন। তাদের সেই আশ্বাস এখনো আলোর মুখ দেখে নি। ঝুঁকিপূর্ণ গোবিন্দগুনিয়া সেতুটির জন্য আর কতদিন অপেক্ষা করলে, আর কতজন শিশু ইভার বলি হলে, আর কতগুলো দুর্ঘটনা ঘটলে সেতুটি নির্মাণ কিংবা সংস্কার করে ঝুকিহীন নিরাপদ সেতুতে রূপ নেবে তা কেউ জানে না।
এদিকে গত ১৬ জুলাই রাতে প্রবল বর্ষণে সেতুটির পূর্বপার্শ্বের পাটাতনের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনই যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে উল্লেখিত সেতু দিয়ে চলাচলকারী ভারী যানবাহনের চাপে মারাত্মক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ সেতুটি ভেঙ্গে ভেড়ামারা উপজেলার সাথে মিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ারসমূহ আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজাদ জাহান’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।