দেশজুড়ে
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ৫ জনের মৃত্যু
কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার শহরে পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরো চারজনকে। রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার কবরস্থান পাড়াস্থ রাডার স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, খায়রুল আমিনের স্ত্রী জুনু বেগম (২৮) ও তার শিশু কন্যা নীহা মনি (৭), শাহ আলম (৪০) ও তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার (৩৩) ও তার ভাগনি রিনা আক্তার (১৭)।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মধ্যে সকাল ৭ টায় খায়রুল আমিনের স্ত্রী জুনু বেগম ও তার শিশু কন্যা নীহা মনিকে। এরপর দুপুর ১২টার দিকে মাটি খুঁড়ে শাহ আলম, তার স্ত্রী রোকেয়া আক্তার ও তার ভাগনি রিনার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও চারজনকে জীবিত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভোর থেকে উদ্ধার কাজ চালাতে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে পেকুয়া ও চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
পাহাড়ধস থেকে বেঁচে আসতে পারা শাহ আলম বলেন, রাত ২টার দিকে হঠাৎ করে বিকট শব্দে পাহাড় ধসে পড়ে। কোনোরকমে স্ত্রী ও শিশুকন্যাকে নিয়ে বের হয়ে আসেন। কিন্তু এখনও পরিবারের তিনজনের খোঁজ পাচ্ছেন না। পাহাড়ধসে চারটি ঘর মাটিচাপা পড়ে। তার মধ্যে শাহ আলম ও কায়রুল আমিনের দু’টি ঘর এবং দু’টি ভাড়ার ঘর রয়েছে। ভাড়া ঘরের দু’জন পাওয়া যাচ্ছে না।
পাহাড়ধসের খবর পেয়ে কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ছুটে আসেন এবং উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এর পরই উদ্ধারকাজে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর একটি দল। সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার দল দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নুরুন নবীকে (২০) জীবিত উদ্ধার করে।
এ খবর পেয়ে রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা চলে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এ