Connect with us

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত দুর্ভোগে পৌনে ২ লাখ বানভাসী

Published

on

Kurigram Flood Situation photo-(1) 25.08.15

শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি  ; কুড়িগ্রাম জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি ৮ সেন্টিমিটার ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে ৯ উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের প্রায় পৌনে ২ লাখ মানুষ। বানভাসী মানুষেরা বসতবাড়ী ছেড়ে গবাদী পশু নিয়ে পাকা রাস্তা ও বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।

বন্যার পানির প্রবল স্রোতে প্রায় দেড়শ কিলোমিটার কাচা ও ২৫ কিলোমিটার পাকা সড়ক এবং ১৫টি ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষের এখন একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা ও কলাগাছের ভেলা। বানভাসী মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে রোববার ৮০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। কিন্তু তা এখনও বর্নাত্যদের মাঝে বিতরন শুরু হয়নি।

উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মজিরন বেওয়া জানান, বন্যার পানিতে সব শেষ হয়া গেছে। বর্তমানে বাধের মধ্যে আছি। খাওয়া-দাওয়া নাই। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান জানান, বন্যার পানি সামান্য হ্রাস পেলেও বন্যা কবলিত মানুষজন এখনও পানিবন্দি জীবন যাপন করছে। বন্যার্তদের মাঝে এখনও ত্রানের চাল বিতরন শুরু হয়নি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আজ মঙ্গলবার বিতরন শুরু হবে। পাশাপাশি বুধবার থেকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুকনো খাবার বিতরন করা হবে।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী গত ৫ দিন ধরে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে জেলার প্রায় ৪৬ হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত।  স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং সেতু পয়েন্টে ধরলার নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *