Connect with us

আন্তর্জাতিক

‘ভারত দ্রুত ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হবে’

Published

on

banglaমুসলমানদের ‘জনসংখ্যা জিহাদের’ বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারলে ভারত দ্রুত ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট প্রবীণ তোগাড়িয়া।

ভারতের আদমশুমারি রিপোর্ট উল্লেখ করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বলেছে, জনসংখ্যা জিহাদের ফলে হিন্দু বিলুপ্ত হতে পারে, এজন্য সারা দেশে দুটি সন্তান আইন বাস্তবায়ন করা উচিত।

আরএসএস মুখপত্র ‘অর্গানাইজার’-এ বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া বলেন, ‘মুসলমান জনসংখ্যা একতরফাভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, অন্যদিকে হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘হিন্দু জনসংখ্যা দ্রুত বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে মুসলমানদের জনসংখ্যা পদ্ধতিগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তোগাড়িয়া বলেন, ‘১৯৫১ সালে হিন্দু জনসংখ্যার হার ৮৪ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৮০ শতাংশের নীচে চলে এসেছে। যদিও মুসলমানদের জনসংখ্যা এ সময়ে ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশের বেশি হয়ে গেছে।’ তিনি সারা দেশে ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’ চালু করার পক্ষে সাফাই দিয়েছেন।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘এখনই জনসংখ্যা জিহাদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে ভারত দ্রুত ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হয়ে যাবে। রাজনৈতিক চাপের পরওয়া না করে দুই সন্তান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা উচিত।’

আদমশুমারির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান একটি সতর্কতা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি এর আগে বলেছিলেন, যদি এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকে তাহলে ভারত থেকে হিন্দু ওইভাবে সাফাই হয়ে যাবে যেরকম আফগানিস্তান এবং কাশ্মীরে হয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর সাধু সম্মেলনে এই বিষয়টি তোলা হবে বলেও জানান তোগাড়িয়া।

গত ২৮ আগস্ট বজরং দলের পক্ষ থেকে কানপুরে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ানোর জনজাগরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। শিব সেনার আগ্রা শাখার পক্ষ থেকে এরইমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেয়া হিন্দু পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে পুরস্কার দেয়া হবে।

বিজেপি এমপি যোগী আদিত্যনাথ সম্প্রতি বলেছেন, ‘মুসলিমদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ওদের জনসংখ্যার ওপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

আদিত্যনাথ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার পক্ষেও সাফাই গেয়েছেন।

২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত আদমশুমারি রিপোর্টে প্রকাশ, ভারতে মোট জনসংখ্যা ১২১.০৯ কোটি। এরমধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা ৯৬.৬৩ কোটি। অন্যদিকে, মুসলিম জনসংখ্যা মাত্র ১৭ কোটি ২২ লাখ।

২০০১ সালে মুসলিম জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার ছিল ২৯.৫২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার কমে ২৪.৬০-এ দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ২০০১ সালে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১৯.৯২ শতাংশ। ২০১১ সালে এই বৃদ্ধির হার ১৬.৭৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমেছে মাত্র ৩ শতাংশ।

হিন্দু এবং মুসলিমদের মধ্যে সংখ্যাগত দিক থেকে বিস্তর ব্যবধান থাকলেও এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আগের তুলনায় কমলেও হিন্দুত্ববাদীরা এ নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সূত্র: দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, আইবিএন লাইভ

বাংলাদেশেরপত্র/ এডি/ আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *