দেশজুড়ে
বাঘায় নিয়ম বর্হিভূত ৩ শিক্ষক নিয়োগ! জেলা শিক্ষা অফিসারের তদন্তে প্রমানিত
রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় কালিদাস খালি উচ্চ বিদ্যালয়ে বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া প্রধান শিক্ষকসহ দুই জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি গত ২০ আগষ্ট জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, উপজেলার কালিদাস খালি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৎকালিন প্রধান শিক্ষক শ্রী রামচন্দ্র দাস বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই, শ্রী রবিন্দ্রনাথ প্রামানিককে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন। ২০১৪ সালের আগষ্ট মাসের ১ তারিখে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন রবিন্দ্রনাথ। এছাড়াও ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখে আমিরুল ইসলাম ও শ্রী সুকান্ত কুমার সাহাকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রদান করেন রামচন্দ্র দাস। এর প্রেক্ষিতে তারা একই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখে যোগদান করেন। কিন্তু চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র দাস বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই দায়িত্ব পালনকালে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তাদের নিয়োগ প্রদান করেন। বিষয়টি শিক্ষা বোর্ড অবগত হয়ে তাদের বেতন ভাতা বন্ধসহ নিয়োগ স্থগিত করে তদন্ত করেন।
জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, গত ২০-৮-২০১৫ তারিখে তদন্ত করে নিয়ম বর্হিভূত নিয়োগ প্রদানের সত্যতা পেয়েছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান গত ০১-০৮- ২০১২ সালের আগষ্ট মাসে তৎকালিন দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ শেষ হলে, ২ বছর সময় বর্ধিত করেন। কিন্তু তার বর্ধিত সময়ের জন্য শিক্ষা বোর্ডের কোন অনুমোদন ছিলনা। বিধায় তার দেয়া শিক্ষক নিয়োগ বৈধ নয় বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক রামচন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি, স্কুল পরিচালনা কমিটি কর্তৃক চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ পাওয়ার পরে নিয়োগ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সে সময় বোর্ডের কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আব্দুল মোকিম জানান, শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া নিয়ম বর্হিভূত দিয়েছিলেন নিয়োগ দিয়েছিলেন চুক্তিভিক্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র দাস। বিষয়টি শিক্ষা বোর্ড অবগত হওয়ার পর বোর্ডের অনুমতিক্রমে সহকারী দুই শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও শ্রী সুকান্ত কুমার সাহার নিয়োগ অবৈধ করাসহ তাদের বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর