জাতীয়
দুদকের মামলা: এমপি বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মঙ্গলবার এমপি বদি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ -৩ এর বিচারক আবু আহম্মেদ জমাদ্দার অভিযোগ গঠন করেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট এ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। আদালতে বদির উপস্থিতিতে তার আইনজীবী অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। একই সঙ্গে দুদকের আইনজীবী অভিযোগ গঠনের জন্য আবেদন করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৯৪২ টাকা অবৈধ সম্পদের তথ্য অভিযোগপত্রে তুলে ধরা হয়েছে। তিনি দুদকের কাছে তিন কোটি ৯৯ লাখ ৫৩ হাজার ২৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা মামলায় নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকা, সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া এবং পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকার তথ্যের উল্লেখ রয়েছে।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় ২ কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
২০১৪ সালের ৭ মে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর