Connect with us

স্বাস্থ্য

বুকের ব্যাথার বিভিন্ন কারন

Avatar photo

Published

on

pains_chest

স্বাস্থ্য ডেস্ক:  বুকের ব্যাথা এতোটা জটিল সমস্যা যার জন্য কোনো ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যেতে হয়। বিভিন্ন কারণে বুকে ব্যাথা হয়ে থাকে। প্রথমে দেখতে হবে বুকে ব্যাথা আঘাত জনিত কারণে না আঘাত বিহীন কারণে। যদি আঘাত বিহীন কারণে বুকে ব্যাথা হয় তাহলে প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে হৃদরোগজনিত কারণে না অন্য কোনো কারণে বুকে ব্যাথা হয়েছে। এই কারণ নির্ধারনের জন্য রোগীর কাছ থেকে রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ইতিহাস জানতে হবে এবং এর পর শারীরিক ও ল্যাব পরীক্ষা করে সঠিক রোগ নির্ণয় করলে বেশীর ভাগ বুকের ব্যাথা ভাল করা সম্ভব।
প্রথমে বুকের ব্যাথা কোন স্থানে-
বুকের মাঝ খানে
বাম না ডান পার্শ্বে
বুকে ব্যাথার প্রকৃতি-
চাপ চাপ ব্যাথা
মনে হয় বুকের মাঝ খানে পাথর বসিয়ে রেখেছে এমন দমবন্ধ হয়ে আসে এমন বা অনুভূতিহীন যেমন হৃদরোগ জনিত কারণ।
তীব্র ব্যাথা
ছুড়ি দিয়ে আঘাত করলে যেমন মনে হয়
পোড়ানো ব্যাথা
শ্বাস নেবার সাথে সাথে তীব্র ব্যাথা।
ফুসফুস জানিত কারণ যেমন :
নিমোনিয়া
পালমোনারী অ্যামবলিজম
হৃদযন্ত্রের প্রদাহ
হঠাৎ তীব্র পীড়াদায়ক ব্যাথা বুকের সামনে থেকে পিছনের দিকে চলে যায়।
যদি বুকে ব্যাথা-
পরিশ্রম করলে
দুঃচিন্তা করলে
ঠান্ডা আবহাওয়ার সর্ষ্পশে আসলে
দুঃস্বপ্ন দেখলে বাড়ে
কিন্তু বিশ্রাম নিলে, জিহবার নীচে নাইট্রেট জাতীয় ওষুধ দিলে কমে তাহলে হৃদরোগ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।
খাবার পর, শোবার সময়, গরম খাবার, মদ পান করলে এবং খালী পেটে যদি ব্যাথা বাড়ে, এ্যান্টাসীড জাতীয় ওষুধ খেলে কমে যায়, তাহলে খাদ্য নালী জানিত কারণ।
বুকের ব্যাথার সাথে শ্বাস কষ্ট হলে হৃদরোগ, পালমোনারী অ্যামবলিজম নিমোনিয়া নিউমোথোরাক্স হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।
পরিশ্রম শুরু করার কিছুক্ষণ পর থেকে ব্যাথা শুরু হয়, বিশ্রাম নিলেও ব্যাথা থাকে, যদি ব্যাথা নিরাময় জাতীয় ওষুধ থেকে ব্যাথা কমে তাহলে মাংশপেশী জনিত কারণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।
বুকে ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট, এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা, হঠাত্ কোন শব্দ হলে বুকের ব্যাথা বেড়ে যায় ও বুক ধড়পড় করে, কোনো মৃত্যুর সংবাদ শুনলে বুকে ব্যাথা শুরু হয়, বিভিন্ন ধরনের দুঃচিন্তা করলে বুকে ব্যাথা বেড়ে যায় তাহলে মানসিক কারণে হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়।
অনেক সময় পেট ব্যাথার সাথে বুকে ব্যাথা থাকতে পারে যেমন পিত্তথলীতে পাথর হলে হয়। যে কারণেই বুকে ব্যাথা হোক না কেন রোগী অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা যেমন বুকের পরীক্ষা করে দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে এবং সঠিক চিকিৎসা করালে বেশীর ভাগ রোগী ভাল হয়ে যায় এবং অনেক সময় দ্রুত হৃদরোগ নির্ণয় করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কোনো রোগের কারণ না পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে রোগীকে সঠিক উপদেশ দিয়েও বুকের ব্যাথা ভাল করা সম্ভব।
পেটে গ্যাস হওয়া এবং গ্যাস হওয়া থেকে ব্যথা :
লক্ষণ ও উপসর্গ
দুর্গন্ধযুক্ত বা গন্ধহীন ঢেকুর ওঠা
পেট ফেঁপে ওঠা
পেট ফেঁপে ওঠার দরূন তলপেটে বা উদরে ব্যথা হওয়া
কী করা উচিত
গ্যাসের ব্যথার থেকে রেহাই পেতে পিপারমিন্ট, কেমোমাইল কিংবা ফিনেল দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন।
যদি আপনি গ্যাস নির্গমনের চাপ অনুভব করেন সেক্ষেত্রে সেটা চেপে রাখবেন না, প্রয়োজনে রুমের বাইরে গিয়ে হলেও কাজটা সেরে ফেলুন
যদি পেটে গ্যাস হবার কারণে আপনার ব্যথাটা তীব্র হয়ে ওঠে সেক্ষেত্রে চিত হয়ে শুয়ে পড়ে পা দুটোকে বুকের সাথে মেলাতে পারেন এবং ওভাবে কিছুক্ষণ অবহ্মহান নিতে পারেন, এই ব্যায়াম চর্চার মাধ্যমে পেটে জমে থাকা গ্যাস বের হওয়া সহজ হয়
কখন ডাক্তার দেখাবেন
যদি পেটে গ্যাস হবার কারণে ব্যাথা আপনার নাভির কাছ থেকে শুরু হয়ে তলপেটের নিচের দিকের ডান পাশে পর্যন্ত সরতে থাকে সেক্ষেত্রে এটা হয়তো এপেনডিসাইটিসের লক্ষণ
যদি আপনার তিনদিনেরও বেশি সময় ধরে ক্রমাগত আপনার পেটের স্ফিতী থেকে যায়।
যদি গ্যাস নির্গমনের সময় কিংবা মল ত্যাগের সময় আপনার তলপেটে তীব্র ও আকস্মিক ব্যথা জেগে ওঠে সেক্ষেত্রে এটা হয়তো আইবিএস বা ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রম-এর লক্ষণ
যদি আপনার পেটে প্রায়ই গ্যাস জন্মায়, এবং আপনার ওজন যদি কমতে থাকে, এবং আপনার মলের রঙ যদি ম্লান হয় এবং দুর্গন্ধ যুক্ত হয় সেক্ষেত্রে আপনি হয়তো বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন (ম্যালএ্যাবজরশন ডিজওর্ডার বা স্নেহ জাতীয় পদার্থ হজমে অসমর্থতা)
কীভাবে প্রতিরোধ করবেন
তীব্র গ্যাস এবং গ্যাস সংক্রান্ত ব্যথা থেকে আপনি কেবল আপনার খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করেই মুক্তি পেতে পারেন। মনে রাখবেন যে যদিও বেশি আঁশযুক্ত খাবারগুলো গ্যাস তৈরি করে কিন্তু এই খাবারগুলোই আবার একটি স্বাহ্মহকর খাদ্য তালিকার জন্যে অপরিহার্য খাবার। ফল এবং শাকসব্জি এবং বিচি জাতীয় খাবার এবং আস্ত খাদ্যকণা যেগুলো সেগুলো বাদ না দিয়ে বরং পেটে যাতে গ্যাস না হয় সেজন্যে খাদ্য তালিকায় নিম্নোক্ত পরিবর্তনগুলো চেষ্টা করে দেখতে পারেন:
শুকনো সিমের বিচি কিনুন। সারারাত সেগুলো পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার পানি ফেলে দিয়ে পরিস্কার পানিতে বিচিগুলো রান্নার জন্যে চড়িয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন বিচিগুলো যেন পুরোপুরি সেদ্ধ হয়
প্রচুর পরিমাণ পানি বা পানীয় পান করুন
যেসব খাবার বা স্ন্যাকস-কে মিষ্টি করার জন্যে ফন্সুকটোজ (ফলের চিনি) ব্যবহার করা হয় বা সরবিটল (কৃত্তিম চিনি) ব্যবহার করা হয় সেগুলো পেট ফাঁপার জন্যে দায়ী
আস্তে আস্তে খান, খাবার পুরোপুরি চর্বন করুন, এবং বেশি খাওয়া পরিত্যাগ করুন। (মনে রাখবেন যে খাবার পর পেট ভরেছে এই অনুভূতি আসতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগে।)
খাবার পর হালকা হাটা চলার অভ্যাস গড়ে তুলুন। মধ্যম ধরনের শরীর চর্চা হজমি শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে এবং গ্যাস দ্রুত নির্গমনে সহায়ক ভূমিকা রাখে
কার্বোনেটেড পানীয় (যেমন কোকা কোলা, পেপসি ইত্যাদি), চুইং গাম, এবং স্ট্র দিয়ে সিপ করে করে পান করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এগুলোর প্রত্যেকটিই আপনার পাকস্থলিতে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে
বুক জ্বালাপোড়া করা :
লক্ষণ ও উপসর্গ :
বুকে ব্যথা হওয়া, বিশেষত সামনের দিকে ঝুকলে কিংবা শুয়ে পড়ার সময়।
উদরের উপরের দিকে মৃদু ব্যথা হওয়া।
বুকে জ্বালাপোড়া হওয়া, ঠিক বুকের মাঝ বরাবর উপর থেকে নিচে। অর্থাৎ ব্্েরস্টবোন বা স্টারনামের পেছনে জ্বালাপোড়া হওয়া, বিশেষত খাওয়া দাওয়ার পর এই জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্তও স্থায়ী হয়।
গলায় জ্বলুনী হওয়া, কিংবা গলার ভেতরের দিকে ঝাল, টক বা লবণাক্ত কোন তরলের উপস্থিতি অনুভব হওয়া।
মাঝে মধ্যে ঢেকুর তোলা।
কী করা উচিত :
অনেক ডাক্তারই হয়তো রোগীকে হঠাৎ হঠাৎ বুক জ্বালা-পোড়ার পথ্য হিসেবে ডিসপেন্সারি থেকে এন্টাসিড কিনে খেতে পরামর্শ দেন। কিন্তু উচ্চ রক্তচাপ, অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন, কিডনির রোগ, পায়ুনালীর সমস্যা, দীর্ঘহ্মহায়ী বুক জ্বলা পোড়া করা, কিংবা এ্যাপেন্ডিসাইটিসের কোন লক্ষণ আছে কি না সে ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে এন্টাসিড সেবন করবেন না। গর্ভবতী মহিলারা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ না করে কোন ধরনের ওষুধই সেবন করবেন না, তা সেটা এন্টাসিডই হোক না কেন।
নিম্নোক্ত প্রাকৃতিক বিকল্পগুলোও আপনার এই কষ্ট থেকে নিবৃত্তি দিতে পারে:
বুক জ্বলা পোড়ার কষ্ট থেকে দ্রুত নিরাময় পেতে আদা চা খেতে পারেন
খাওয়া দাওয়ার পর অন্তত দুই থেকে তিন ঘন্টা গা এলিয়ে শুয়ে পড়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। যদি আপনাকে অবশ্যই শুয়ে পড়তে হয়, সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের বাম পাশে ভর দিয়ে কাত হয়ে শোন; কেননা এই অবস্থানে আপনার পাকস্থলির নিম্নাংশ খাদ্যনালী বা এসোফেগাস থেকে নিচে থাকে; ফলত এসিড জমা হবার সুযোগ কম পায়
কফি পান, ধুমপান এবং অতিরিক্ত মদ্য পান থেকে বিরত থাকুন
শ্রম এবং অন্যান্য চাপ থেকে নিজের শরীর ও মনকে মুক্ত রাখতে মন ও শরীর শিথিলায়নের কোন উপায় খুঁজে নিন
বিছানার যে পাশে মাথা রেখে ঘুমান সেই পাশে মেট্রেসের নিচে ছোট বালিশ বা ফোন বুক বা বই ইত্যাদি ঢুকিয়ে চার থেকে ছয় ইঞ্চি উঁচু করে নিন, কিংবা রাবারের ফোমও ঢুকিয়ে উঁচু করে নিতে পারেন
কখন ডাক্তার দেখাবেন :
যদি আপনার বুকে খুব বেশি জ্বালা পোড়া হয়, কিংবা ব্যথাটা বুক থেকে আপনার বাহু এবং কাধের দিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সেক্ষেত্রে এটা হয়তো হার্ট এ্যাটাকের লক্ষণ।
যদি আপনি উপরের পরামর্শগুলো পালন করে থাকেন এবং তারপরও আপনার বুকের জ্বলা পোড়া বন্ধ না হয়।
কিভাবে প্রতিরোধ করবেন :  বুক জ্বলা-পোড়ার অনেকগুলো প্রতিকারক ব্যবহ্মহাই আবার প্রতিষেধকের ভূমিকা নিতে পারে। সেই সাথে:
আপনার শরীরের ওজন যথাযথ রাখার চেষ্টা করুন।
যেসব খাবার খেলে বা পানীয় পান করলে আপনার বুক জ্বলা-পোড়া করে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এই খাবারগুলোর মধ্যে থাকতে পারে টমেটু, রসুন, পেঁয়াজ, চকোলেট, কফি, চা, মদ, পিপারমিন্ট, এবং অন্যান্য কার্বোনেটেড পানীয় যেমন, কোক, পেপসি।
যেসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে তেল বা চর্বি বা স্নেহজাতীয় পদার্থ রয়েছে সেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ঠিক ঘুমোতে যাবার আগ আগ দিয়ে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম গ্রহণ করুন।
দিনে তিনবার বেশি বেশি না খেয়ে বরং একটু পর পর অল্প অল্প করে খাবার খান (দিনে চার পাঁচবারও খেতে পারেন।)
এসপিরিন, ইবুপ্রোফেন এবং অন্যান্য নন-স্টেরইডাল এবং জ্বলা-পড়া নিরোধক বা এন্টি-ইনফ্ল্যামেটোরি ওষুধ সেবন পরিত্যাগ করুন।
ধুমপান করবেন না। নিকোটিন আপনার পাকহ্মহলির সেই পেশিগুলোকে নিহিুক্রয় করে দেয় যেগুলো বরং গ্যাসট্রিক বা গ্যাসকে পাকহ্মহলি থেকে খাদ্যনালীতে যেতে বাধা দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্বাস্থ্য

শীতে মুখের ঘা, ক্ষত সারানোর পদ্ধতি যেনে নিন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অনেকেই মুখে ঘা হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। ছোট-বড় সবারই মুখে ঘা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে মুখে ঘা হতে পারে। মরণব্যাধি এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের কারণে মুখে ঘা হতে পারে।

এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়। মুখে ঘা হলে ভেতরের মাংসে, উপরে বা জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে কিছু খেতে গেলেই জ¦লে। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত কামড় লেগে বা কেটে গেলে মুখের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এমনটি হয়ে থাকে। আবার খুব গরম পানীয় পান করলে বা শক্ত কিছু চাবানোর সময় গালের মধ্যে কামড় লেগে ঘা হতে পারে। এসব সাধারণ কারণ ছাড়াও মুখের ঘা নানা ধরনের মরণব্যাধির কারণে হতে পারে।

এছাড়া শীতেও মুখের ঘা মাউথ আলসারের সমস্যা বাড়তে পারে। এর কারণ হলো শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহারে অনেকটাই মুখের ক্ষত সেরে যায়। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
২. মুখের আলসার দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুবই কার্যকরী এক উপাদান। মুখের ভেতরের যন্ত্রণা ও ব্যথা মুহূর্তেই সারিয়ে তোলে এই ভেষজ উপাদানটি। মুখের ঘা সারিয়ে তুলতে দিনে দুবার মুখের ভেতরে অ্যলোভেরার রস ব্যবহার করুন।
৩. ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
৪. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
৫. প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান আছে। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন ঘষুণ। সূত্র: জিনিউজ/ফেমিনা

Continue Reading

স্বাস্থ্য

যে ৭ কারণে আদা খাবেন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ঝটপট এক টুকরো আদা মুখে পুরে নিলেই হলো! শুধু কি তাই? আদার রয়েছে আরও অনেক গুণ। জেনে নিন আদা খাওয়ার ৭ উপকারিতা সম্পর্কে।

১। বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে আদা।
২। মধু কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন আদা। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। পাশাপাশি শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩। পেশী ভালো রাখতে পারে আদা। এ ছাড়া পেশীর ব্যথা কমাতেও কার্যকর এই ভেষজ।
৪। আদায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। গলা খুসখুস ভাব ও বমি ভাব কমাতে পারে আদা।
৬। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে আদা।
৭। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বেশ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

তথ্য: হেলথলাইন

Continue Reading

স্বাস্থ্য

শীতে খুশকি তাড়ানোর উপায়

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে বাড়ে খুশকির প্রকোপ। একটু সচেতন থাকলে খুশকির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন খুশকি তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১। চার টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
২। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চার চামচ পোস্তদানা পিষে দুধে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। সপ্তাহে দুইবার দই লাগান চুলে। খুশকি দূর হবে।
৪। রাতে ঘুমানোর সময় অড়হর ডাল খোসাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পিষে মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫। রিঠা দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। রাতে ৫ চামচ আমলকী আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৭। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই তেল চুলে ভালো করে ঘষুন।
৮। খুশকি তাড়াতে লেবুর রসও বেশ কার্যকরী। লেবুর রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

Continue Reading