বিবিধ
রবি-এয়ারটেল কৌশলী সিদ্ধান্তে শেয়ার ভাগাভাগি!
মালয়েশিয়ান কোম্পানি আজিয়াটা ও ভারতী এন্টারপ্রাইজ বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ বাজারে আধিপত্য বাড়াতেই নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছেড়ে কৌশলী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। দেশের শীর্ষ দুই মোবাইল ফোন অপারেটর রবি ও এয়ারটেল এক হওয়ার খবরে টেলিযোগাযোগ খাত একটু নড়েচড়ে বসেছে। জানা গেছে একীভূত কোম্পানী প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা চলছে এই প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে।
একীভূত কোম্পানী প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কার শেয়ার কতটুকু হবে তা নিশ্চিত করেনি কোন রবি বা এয়ারটেল। তবে দুই অপারেটর মিলে নতুন যে কোম্পানি গঠিত হতে যাচ্ছে তাতে নিশ্চিতভাবেই নেতৃত্ব দেবে বর্তমানে বাজারে এগিয়ে থাকা আজিয়াটা।
এ বিষয়ে রবির কমিউনিকেশনস অ্যান্ড কর্পোরেট রেসপনসিবিলিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবীর গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মাত্র আলোচনা শুরু হয়েছে। দুই কোম্পানি একীভুত হবে নাকি এয়ারটেল বাংলাদেশকে রবি অধিগ্রহণ করবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেন, এমনও হতে পারে শেষমেশ কিছুই হলো না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার বাংলাদেশে রবি এবং এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আলোচনা শুরুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় অপারেটর দুটি। যদিও উভয় কোম্পানি গত আগস্টে এ আলোচনা শুরু করে। এখন পর্যন্ত নতুন কোম্পানির অংশীদারিত্বে মালিনাকার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরের আলোচনাগুলোতে বাকি বিষয়গুলো নিস্পত্তি করা হবে।
বর্তমানে রবিতে আজিয়াটার শেয়ার আছে ৯১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর ডকোমোর শেয়ার আছে ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। ২০০৭ সালে ডকোমো তখনকার একেটেলের ৩০ শতাংশ শেয়ার কিনে যাত্রা করলেও পরে এখানকার বাজারে আর কোনো বিনিয়োগ করেনি। ফলে তাদের শেয়ার কমতে থাকে। আর বাড়তে থাকে আজিয়াটার শেয়ার।
অন্যদিকে অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু করলেও দেশের বাজারে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ভারতীয় এয়ারটেল। এর ফলে অনেক দিন থেকেই বাংলাদেশের বাজার থেকে এয়ারটেলের অপারেশন গুটিয়ে নেওয়ার আলোচনা চলছিল। আর এখন যে প্রক্রিয়া শুরু হলে সেটি শেষ হতে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এর মধ্যে তাদেরকে সরকারের কাছ থেকে একীভূতকরণের অনুমোদন নিতে হবে। উচ্চ আদালতের অনুমিতি নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতাও শেষ করতে হবে। সব পক্ষের প্রক্রিয়া শেষে রবি ব্র্যান্ডনেম নিয়ে অপারেটরটি বাজারে থাকবে বলে জানা গেছে।
সেক্ষেত্রে বর্তমানে যারা ’০১৬’ ডিজিটের সেবা নিচ্ছেন সেই সব গ্রাহকদের পর্যায়ক্রমে ‘০১৮’ ডিজিটে নিয়ে আসা হবে। এখন এ বিষয়গুলোই ফয়সালা করবেন অপারেটর দুটির নীতিনির্ধারকরা।
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৩ কোটি মোবাইল সংযোগের মধ্যে ২ কোটি ৭৯ লাখ গ্রাহক রবির। অন্যদিকে এয়ারটেলের রয়েছে ৯০ লাখ গ্রাহক। দুই অপারেটর এক হলে তাদের গ্রাহক হবে তিন কোটি ৭০ লাখ। ফলে তারা বাংলালিংককে টপকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর