Connect with us

স্বাস্থ্য

যেসব অভ্যাসগুলো ক্ষতি করতে পারে আপনার কিডনির

Avatar photo

Published

on

kiiiমানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কিডনি অন্যতম। মানুষের শরীরে দুটো কিডনি রয়েছে। কিডনি শরীরের দূষিত পদার্থ বাইরে বের করে দিতে সাহায্য করে। অনেকসময় একটি কিডনি দিয়েও মানুষ বেঁচে থাকে। কিডনি যদি কোনো কারণে কাজ করা বন্ধ করে দেয় বা কাজ করতে না পারে তবে শরীর বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু বাজে অভ্যাস কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফ্যামিলি হেলথ ফ্রিডম নেট ওয়ার্ক জানিয়েছে কয়েকটি অভ্যাসের কথা, যা কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দেখুন আপনার মধ্যে এর কোনো অভ্যাস রয়েছে কি না!
এক : পানি কম খাওয়া বা শরীরকে আর্দ্র না রাখা
শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে ভালোভাবে ছেঁকে বের করে দেওয়ার জন্য কিডনির পানির প্রয়োজন হয়। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা না হয় তবে কিডনি তার কাজ ঠিক মতো করতে পারে না এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুই : বেশি চিনি খাওয়া
বেশি পরিমাণ চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। কয়েক বছর পর এই অভ্যাস কিডনিকে দুর্বল করে ফেলে এবং এর কার্যক্ষমতাকে ব্যাহত করে।
তিন : বেশি লবণ খাওয়া
খাবারে অতিরিক্ত লবণের ব্যবহার উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে এবং কিডনির ওপর চাপ তৈরি করে। তাই খাবারে কম লবণ ব্যবহার করা ভালো।
চার : প্রস্রাব চেপে রাখা
অনেকে বিভিন্ন কারণে প্রস্রাব চেপে রাখে। বিশেষ করে আমাদের দেশে রাস্তাঘাটে টয়লেটের সুব্যবস্থা না থাকায় মেয়েদের বেলায় এটি বেশি হতে দেখা যায়। এই অভ্যাস কিডনির ওপর চাপ তৈরি করে। নিয়মিত এ রকম করতে থাকলে কিডনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রস্রাবের মাধ্যমে নিয়মিত শরীরের বর্জ্য পদার্থগুলো বেরিয়ে যাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পাঁচ : অতিরিক্ত কফি পান
অতিরিক্ত কফি পান কিডনির কাজকর্ম করাকে কঠিন করে দেয়। দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত কফি পান কিডনি কাজকে ব্যাহত করে। তাই অতিরিক্ত কফি পান এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন গবেষকরা।
ছয় : ব্যথানাশক ওষুধ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যথা নাশক ওষুধ বেশি সেবনে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এসব ওষুধ এমন উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় যার দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হলে কিডনি ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই কিডনির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে বেশি ব্যথা নাশক ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
সাত : মদ্যপান
মদ্যপান কিডনির জন্য খুবই খারাপ। কেবল তাই নয় এটি লিভারের জন্যও বাড়তি চাপ তৈরি করে। এটি কিডনির কার্যক্রমকে ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত করে।
আট : পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হওয়া
স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঘুম খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেকেই ভালো করে ঘুমান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনির কার্যক্রম ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি।
নয় : বেশি মাংস খাওয়া
অনেকের খাদ্যতালিকায় প্রাণীজ প্রোটিন বা মাংস বেশি থাকে। এই প্রোটিনের উৎস থেকে যে টক্সিন আসে তা সহজে ভাঙতে পারে না কিডনি এবং কিডনির জন্য তা ছাকতেও কঠিন হয়ে পড়ে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কিডনি ভালো রাখতে মাংস খাওয়া কমিয়ে সবজি খান।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

স্বাস্থ্য

শীতে মুখের ঘা, ক্ষত সারানোর পদ্ধতি যেনে নিন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
অনেকেই মুখে ঘা হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। ছোট-বড় সবারই মুখে ঘা হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ২০০ রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে মুখে ঘা হতে পারে। মরণব্যাধি এইডস থেকে শুরু করে ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের কারণে মুখে ঘা হতে পারে।

এমনকি গর্ভাবস্থায়ও শরীরে বাসা বাঁধা অনেক রোগের লক্ষণ মুখের ভেতরেই প্রকাশ পায়। মুখে ঘা হলে ভেতরের মাংসে, উপরে বা জিহ্বায় ঘা হয়ে থাকে। প্রচণ্ড ব্যথার কারণে কিছু খেতে গেলেই জ¦লে। অনেকেরই এসবের সঙ্গে সঙ্গে মুখ ফুলে যাওয়া বা পুঁজ বের হওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

সাধারণত কামড় লেগে বা কেটে গেলে মুখের ভেতরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়। এমনকি শক্ত ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করলেও এমনটি হয়ে থাকে। আবার খুব গরম পানীয় পান করলে বা শক্ত কিছু চাবানোর সময় গালের মধ্যে কামড় লেগে ঘা হতে পারে। এসব সাধারণ কারণ ছাড়াও মুখের ঘা নানা ধরনের মরণব্যাধির কারণে হতে পারে।

এছাড়া শীতেও মুখের ঘা মাউথ আলসারের সমস্যা বাড়তে পারে। এর কারণ হলো শীতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে মুখের আলসারের সমস্যাও বেড়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া মুখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদিও ওভার-দ্য-কাউন্টার টপিক্যাল ওরাল জেল ও ক্রিম ব্যবহারে অনেকটাই মুখের ক্ষত সেরে যায়। তবে চাইলে ঘরোয়া উপায়েও এর সমাধান করতে পারেন। তেমনই ৭টি পরীক্ষিত প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন-

১. ঘরে বসেই মুখের আলসার সারাতে মধু ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখের আর্দ্রতা বজায় রাখে ও শুষ্কতা দূর করে। মধুর সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়েও মুখের ঘায়ের ব্যবহার করতে পারেন।
২. মুখের আলসার দূর করতে অ্যালোভেরা জেল খুবই কার্যকরী এক উপাদান। মুখের ভেতরের যন্ত্রণা ও ব্যথা মুহূর্তেই সারিয়ে তোলে এই ভেষজ উপাদানটি। মুখের ঘা সারিয়ে তুলতে দিনে দুবার মুখের ভেতরে অ্যলোভেরার রস ব্যবহার করুন।
৩. ওষুধি গুণে ভরপুর তুলসি মুখের ঘা সারাতেও কার্যকরী অবদান রাখে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য মুখকে জীবাণুমুক্ত করে। মুখের ঘা সারাতে তুলসি পাতা চিবিয়ে খান কিংবা দিনে দুবার তুলসি ফোটানো গরম পানি দিয়ে গার্গল করুন।
৪. মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার দুর্দান্ত এক ঘরোয়া উপায় হলো লবণ পানিতে গার্গল করা। মুখের ঘা সারাতেও লবণ পানি কার্যকরী। এই পানি দিয়ে গার্গল করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। লবণ পানি মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কমায়। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার গার্গল করুন।
৫. প্রাকৃতিক অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান আছে রসুনে। মুখের আলসারের ব্যথা ও ক্ষত দূর করতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। এতে অ্যালিসিন নামক উপাদান আছে। যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার আক্রান্ত স্থানে এক কোয়া রসুন ঘষুণ। সূত্র: জিনিউজ/ফেমিনা

Continue Reading

স্বাস্থ্য

যে ৭ কারণে আদা খাবেন

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
গলা খুসখুসে ভাব দূর করতে ঝটপট এক টুকরো আদা মুখে পুরে নিলেই হলো! শুধু কি তাই? আদার রয়েছে আরও অনেক গুণ। জেনে নিন আদা খাওয়ার ৭ উপকারিতা সম্পর্কে।

১। বুক জ্বালাপোড়া করা, হজমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটি দূর করতে পারে আদা।
২। মধু কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন আদা। এতে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বিভিন্ন রোগ থেকে দূরে রাখবে আপনাকে। পাশাপাশি শক্তিশালী হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
৩। পেশী ভালো রাখতে পারে আদা। এ ছাড়া পেশীর ব্যথা কমাতেও কার্যকর এই ভেষজ।
৪। আদায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৫। গলা খুসখুস ভাব ও বমি ভাব কমাতে পারে আদা।
৬। রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে আদা।
৭। কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে বেশ কিছু ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

তথ্য: হেলথলাইন

Continue Reading

স্বাস্থ্য

শীতে খুশকি তাড়ানোর উপায়

Avatar photo

Published

on

স্বাস্থ্য ডেস্ক:
শীতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে বাড়ে খুশকির প্রকোপ। একটু সচেতন থাকলে খুশকির উপদ্রব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন খুশকি তাড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

১। চার টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।
২। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে চার চামচ পোস্তদানা পিষে দুধে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগান। আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩। সপ্তাহে দুইবার দই লাগান চুলে। খুশকি দূর হবে।
৪। রাতে ঘুমানোর সময় অড়হর ডাল খোসাসহ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পিষে মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৫। রিঠা দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬। রাতে ৫ চামচ আমলকী আধা কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।
৭। খুশকি থেকে মুক্তি পেতে নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই তেল চুলে ভালো করে ঘষুন।
৮। খুশকি তাড়াতে লেবুর রসও বেশ কার্যকরী। লেবুর রস চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন।

Continue Reading