Connect with us

জাতীয়

প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি

Published

on

justiceপ্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘন, শপথভঙ্গ ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে তার অভিসংশন চেয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। কিন্তু আপিল বিভাগ কোন চিঠি পায়নি বলে জানিয়েছে। শামসুদ্দিন আজ রবিবার সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে এ চিঠি দেয়ায় তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে। এদিকে রবিবার বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন নিয়ে সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বৈঠক ভণ্ডুল হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সরকার সমর্থক আইনজীবীদের একটি অংশ এই বিচারককে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়ার জন্য বৈঠক ডাকলে বিএনপিপন্থী সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতারা এতে বাধা দেন। তারা আইনজীবী এম ইউ আহমেদ হত্যার জন্য বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে দায়ী করে বিরোধিতা করলে সভাটি ভণ্ডুল হয়ে যায়।

জানা গেছে, আগামী ১ অক্টোবর অবসরে যাবেন বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী। তবে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে সুপ্রীম কোর্টের অবকাশ শুরু হওয়ায় ১৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তার শেষ কর্মদিবস হবে। প্রসঙ্গত পেনশন প্রক্রিয়া আটকে গেছে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর। গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর নিকট নিষ্পত্তিকৃত মামলার (হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ) অপেক্ষমাণ রায় স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত তার পেনশনসংক্রান্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না। প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বিষয়টি অবহিত করা হয়। অপরদিকে প্রধান বিচারপতির এ সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী।

এই সিদ্ধান্তটি নজিরবিহীন উল্লেখ করে তিনি প্রধান বিচারপতিকে একটি চিঠি দেন এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। এর অংশ হিসেবে রবিবার তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান বিচারপতির অভিসংশন চেয়ে চিঠি লিখলেন।

বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর

Continue Reading
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *