জাতীয়
শেষ দিনে টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনেও কমলাপুর স্টেশনে ছিল টিকিট প্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড়। হঠাৎ বৃষ্টি স্টেশন এলাকায় গরমের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেও টিকিট পেয়ে উচ্ছ্বাস করেছেন অনেকে। তবে কোটাপদ্ধতির কারণে সাধারণ যাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।
অপেক্ষার দীর্ঘ সারি একটি টিকিটের। দুর্ঘটনা ছাড়া নিরাপদ যাত্রা -এমন প্রত্যাশায় কমলাপুর স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড়। ঘড়ির কাটায় ৯টা বাজতেই খুলে যায় কাউন্টার। হাতে মেলে কাঙ্ক্ষিত টিকিট। বৃষ্টিতে ভ্যাপসা গরম বাড়িয়ে দিলেও ট্রেনে করে বাড়িতে যাওয়ার সুযোগে আনন্দে কষ্ট ভুলেছেন অনেকে।
আবার টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কাও ছিল অনেকের চোখেমুখে। অনলাইন, মোবাইলে টিকিট বিক্রি ও কোটাপদ্ধতির সমালোচনা করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই প্রতিদিনের মত শনিবারও ১৪ হাজার ৬’শ ৩৩টি টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্টেশন মাস্টার। এছাড়া, ঈদের আগে ও পরে থাকছে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা।
শিডিউল ঠিক রেখে টিকিট পাওয়া যাত্রীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বজন-সান্নিধ্যে পৌঁছাতে পারবে বলে আশা করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়
এদিকে, ৫ দিনব্যাপী ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির শেষ দিনে ২৪ সেপ্টেম্বরের টিকিটের জন্য চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অন্তত ১৮ ঘণ্টা আগে থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম থেকে প্রধান ৯টি রুটের ১১টি ট্রেনের ৭হাজার ৫১২টি টিকিট দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে, চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ৪টি আন্তঃনগর, ১টি লোকাল, সিলেটগামী ২টি আন্তঃনগর এবং ময়মনসিংহগামী ১টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, চাঁদপুরগামী একটি নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি দুটি বিশেষ ট্রেনের টিকিটও দেয়া হচ্ছে। ঈদের আগের দিনের টিকিট হওয়ায় যাত্রীদের ভিড়ও তুলনামূলক বেশি। এদিকে, আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা।